চা বানানোর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর উচ্ছেদের নির্দেশে ছোট হল দোকান

আমাদের ভারত, দিঘা, ৯ ডিসেম্বর: দিদি এলেন চা বানিয়ে খেলেন, কিন্তু আমার জন্য কিছুই করলেন না! বরং কয়েক মাসের মধ্যেই উচ্ছেদের শিকার হলাম, বলেন দিঘার চা দোকানি পরিমল।

চলতি বছরে আগষ্ট মাসে দিঘাতে  প্রশাসনিক বৈঠক শেষ করার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রের সামনে একটি চায়ের দোকানে ঢুকে পড়েছিলেন। নিজের হাতে চা তৈরি করে প্রশাসনিক আধিকারিক এবং জনপ্রতিনিধিদের সেদিন চা খাইয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।  মাত্র চার মাসের ব্যবধানে আগামী ১১ ডিসেম্বর রাজ্যের শিল্প সম্মেলন উদ্বোধন করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এই কয়েক মাসের মধ্যেই বিজ্ঞান কেন্দ্রের সামনে ‘রাধারানী পান স্টল’ নামে ওই  চায়ের দোকান অনেকটাই ছোট  হয়ে গিয়েছে। কারণ শিল্প সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে গত নভেম্বর মাসে সৈকত শহর দিঘায় উচ্ছেদ অভিযান করেছিল জেলা প্রশাসন। রাস্তার পাশে ফুটপাতে দোকান করে থাকা ওই ব্যবসায়ীকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের নির্দেশ মেনেই রাস্তার পাশে থাকা নিজের দোকানের কিছুটা অংশ নিজেই ভেঙ্গে নিয়েছেন। আর বাকি অংশটুকু রাস্তা থেকে কয়েক ফুট পেছনের দিকে সরিয়ে নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর চা তৈরি করার নানা মুহূর্তের ছবি বাঁধিয়ে রেখেছেন দোকানে। মুখ্যমন্ত্রীর চা তৈরির পরে সৈকত শহরে রাতারাতি যে চায়ের দোকানটি ফেমাস হয়ে গিয়েছিলো সেই দোকানের এখন হতশ্রী দশা।

এই চা দোকানের মালিক পরিমল জানা বলেন, দিদি আমার দোকানে পা রাখার পর আমাদের কিছু হবে বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু এভাবে  উচ্ছেদ অভিযানের শিকার হবো ভাবতেই পারিনি। তাছাড়া এখন পর্যন্ত  পুনর্বাসনের সুযোগটুকুও পাইনি। দুই মেয়ে স্বামী স্ত্রী মিলে তাদের সংসার। রুজিরোজগার বলতে সম্বল এই চায়ের দোকান। মুখ্যমন্ত্রী আবার দিঘাতে আসছেন। দিদি যদি দোকানের এই পরিস্থিতি দেখেন তাহলে হয়তো পুনর্বাসনের একটা ব্যবস্থা হবে এই প্রতিক্ষায় এখন পরিমল ।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here