দল বিরোধী মন্তব্যের জন্য জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে শোকজ রাজ্য বিজেপির, কড়া মন্তব্য শান্তনু ঠাকুরের

আমাদের ভারত, ২৩ জানুয়ারি:দল বিরোধী কাজের জন্য জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তেওয়ারিকে শোকজ করল রাজ্য বিজেপি। জানা গেছে শোকজের চিঠিতে লেখা হয়েছে দলবিরোধী মন্তব্যের জন্য কেন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা তাদের জানাতে হবে।

জানা গেছে রবিবার জারি করা হয়েছে ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, “আপনাদের দ্বারা গত কিছুদিন ধরে পার্টি বিরোধী বিবৃতি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া হয়েছে যা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল। শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী মাননীয় রাজ্য সভাপতি এবং সাংসদ সুকান্ত মজুমদার মহাশয়ের নির্দেশে আপনাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য কেন আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা লিখিতভাবে জানানোর জন্য বলা হচ্ছে।

রাজ্য বিজেপির কার্যালয় সম্পাদক প্রণয় রায়ের জারি করা এই চিঠি জয় প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকের কাছে পাঠানোর ঘটনায় কড়া মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেছেন, “ওরা যা করে করুক। আরও বিজেপি নেতারা বৈঠক করবেন। সব বিক্ষুব্ধদের কি বাদ দেওয়া হবে?” তার কথায়,” আমার কাছে যে আসবে আমি তার সঙ্গেই বৈঠক করব। আমি তো বলে দিলাম আমার কাছে এরা আবারও এলে আবার বসবো।আমার লক্ষ্য স্পষ্ট, ভারতীয় জনতা পার্টিতে বিরাট সংখ্যক বিক্ষুব্ধ হয়ে যাতে দলের ক্ষতি না হয় তার জন্য আমি বৈঠক করবো, এটা আমার দায়িত্ব বলে মনে করি। যা করবে ওরা করুক না। আমার সঙ্গে গোটা পশ্চিমবঙ্গের বিক্ষুব্ধরা বসবে, তা বলে সবাইকে বাদ দিয়ে দেবে সেটা সম্ভব?”

বিজেপি রাজ্য কমিটি ও জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণার পর থেকেই দলের অন্দরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ প্রকাশ পেতে শুরু করে। একের পর এক নেতা বিধায়ক দলীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান। গ্রুপ ছাড়েন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর নিজেও। তারপর দেখা যায় বিক্ষুব্ধদের নিয়ে তার বনগাঁর বাড়িতে বৈঠক হচ্ছে। সেখানে ছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন বসু রীতেশ তিওয়ারি। এরপর দলের বেসুরোদের নিয়ে একটি পিকনিকও বনগাঁয়। অনেকেই এই পিকনিককে বিক্ষুব্ধদের পিকনিক বলে কটাক্ষ করেছিলেন। যদিও জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছিলেন এটি আদতে সামাজিক একটি অনুষ্ঠান, এর মধ্যে রাজনীতি নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *