আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ১২ ডিসেম্বর : শুভেন্দু অধিকারী সহায়তা কেন্দ্র খোলা হল কাঁথি শহরে, তাও আবার সম্পূর্ণ গেরুয়া রংয়ের। নতুন অফিসটির জায়গায় এতদিন তৃণমূল পরিচালিত ব্যবসায়ী সমিতির অফিস ছিল। হঠাৎ রাতের মধ্যে তা বদলে গেল শুভেন্দু অধিকারী সহায়তা কেন্দ্রে। তাও আবার একেবারে গেরুয়া রংয়ের। একদম শুভেন্দুর গড়ে এবার এই নতুন অফিস খোলা হল। অফিসের এই রং নিয়ে কৌতূহল সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক মহল।
শুভেন্দু অধিকারী এখনও তৃণমূল দল থেকে পদত্যাগ করেননি। বিধায়ক পদও ছাড়েননি। তবুও বেশ কয়েকটি জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীর সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আগে বিভিন্ন জায়গায় যেকটি সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে তাতে অফিসের রং কিন্ত অন্য কোনও ইঙ্গিত দেয়নি। কিন্তু এই অফিসটি সম্পর্ক রূপে গেরুয়া রংয়ের।
এই ঘটনার ফলে সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে শুভেন্দু অধিকারী কি তাহলে বিজেপিতে যাচ্ছেন? শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের জেলা সম্পাদক কনিষ্ক পণ্ডার কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল শুভেন্দু অধিকারী কি দল ছাড়ছেন। কনিষ্ক পন্ডা এ ব্যাপারে সামান্য ইঙ্গিত দিলেও সুকৌশলে এড়িয়ে যান প্রসঙ্গ। অথচ তিনি এখনও তৃণমূলের জেলা সম্পাদক। কনিষ্ক পন্ডা দলে থেকেও মমতা ব্যানার্জিকে বিঁধতে ছাড়লেন না। তিনি বললেন, মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহিরাগত বলছেন, নিজেতো বাংলাদেশী। তিনি আরও বলেছেন, বহিরাগত মমতা ব্যানার্জিকে যতদিন না নবান্ন থেকে সরানো হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এইসব শুভেন্দু সহায়তা কেন্দ্র খোলা থাকবে। শুভেন্দু মমতার বিরুদ্ধে লড়াই করবে। তিনি বলেন, দিদি রেডি হোন শুভেন্দু অধিকারী গ্রামের পান্তা খাওয়া, গামছা পরা ছেলে, আপনার বিরুদ্ধে লড়বে। আর অফিস গেরুয়ার প্রসঙ্গে বললেন, মমতা ব্যানার্জি নিজেইতো গেরুয়া অর্থাৎ বিজেপির সঙ্গে ছিলেন। নাড্ডার কনভয়ে হামলা এটা লজ্বার। তবে আজকে এই গেরুয়া রংয়ের অফিস খোলার পর থেকেই সবার মনে একটাই প্রশ্ন ঘোরাঘুরি করছে শুভেন্দু অধিকারী কবে বিজেপিতে যোগদান করছেন।