আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ২৯ ডিসেম্বর: বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর গতকাল ঝাড়গ্রামে এসে রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বোমা ফাটিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার তিনি ঝাড়গ্রাম শহরে বিজেপির একটি কর্মসূচিতে যোগ দেন। সেখানে তিনি বলেন, টেট পরীক্ষাসহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি ও চুরি হয়েছে। পুলিশ দিয়ে বিরোধীদের হেনস্থা করা ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী দিতে না দেওয়া, ভোটে কারচুপি করা থেকে সবই করা হয়েছে। বিজেপির কর্মসূচির পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়, যখন দুর্নীতি হচ্ছিল তখন আপনি মন্ত্রী এবং একুশ বছর ধরে তৃণমূলে ছিলেন। তখন এসব দুর্নীতি নিয়ে তো কিছু বলেননি ?
শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে বলেন তৃণমূলে কারও কোনও হাত নেই। একজনেরই তৃণমূল দল। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আঠারো সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদে বিজেপির জেতার কথা ছিল কিন্তু মধ্যরাতে পুলিশ দিয়ে কারচুপি করে বিজেপিকে হারানো হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম জেলার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রেই পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি ভোটে বিজেপি জিতবে।এরপর তিনি রাজ্য সরকারের আরও বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির কথা বলেন।
গতকাল শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করার সময় শুভেন্দুর তোয়ালে মোড়া টাকা নেওয়া প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নারদা সারদা দুর্নীতিকে একপ্রকার স্বীকৃতি দিয়েই দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী তার বক্তব্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি স্পষ্ট করার চেষ্টা করেন। এসব দায় স্বাভাবিকভাবেই বর্তাবে দলের সুপ্রিমোর উপর। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে ডব্লিউবিসিএস, পিএসসি, এসএলএসটি সহ একাধিক নিয়োগে দুর্নীতি প্রসঙ্গে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীরা আজ যে প্রশ্ন তুলতে আরম্ভ করেছেন, ২৯৪ আসনেই যিনি প্রার্থী দোষ কি তার নয়?