সাথী দাস, পুরুলিয়া, ১৬ সেপ্টেম্বর: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হার নিশ্চিত। নির্ধারিত ৪ নভেম্বরের একমাস আগেই ৩ অক্টোবর প্রিয়াঙ্কার কাছে হেরে যাবেন মমতা ব্যানার্জি।” এই ভাবেই ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে আগাম মতামত জানালেন প্রত্যয়ী বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ পুরুলিয়া শহরের তেলকলপাড়া এলাকায় অনুষ্ঠিত স্থানীয় বিধানসভা ভিত্তিক বিজেপির বিশেষ কর্মী সম্মেলনে এইভাবেই বক্তব্য রাখেন তিনি। তিনি বলেন, “জোর করে নির্বাচন করছে যেখানে লোকাল ট্রেন বন্ধ, রথের দড়ি টানা বন্ধ। তবু ভবানীপুরের ভোটটা করতে হবে। না হলে ৪ নভেম্বর মাননীয়াকে পদত্যাগ করতে হবে। তাই ভোটটা চাপিয়েছেন।”
এদিন দলীয় কর্মীদের আশ্বস্ত করে শুভেন্দুবাবু বলেন, “আপনারা নিশ্চিত থাকুন। ৪ নভেম্বরের দেরি আছে। ৩ অক্টোবর গণনা। একমাস আগেই প্রিয়াঙ্কার কাছে হেরে মমতা ব্যানার্জিকে পদত্যাগ করতে হবে। ওটা এগিয়ে এসেছে। উনি এগিয়ে এনেছেন।”
সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর চেয়ারম্যান পদ থেকে আজকের অপসারণ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ২৪ বছর ধরে বিদ্যাসাগর কো-অপারেটিভ ব্যাংকের পরিচালক কমিটির নির্বাচিত সদস্য রয়েছি। ২৪ সাল পর্যন্ত আমাকে সরানোর ক্ষমতা মমতা ব্যানার্জি কেন, তাঁর কোনও কোম্পানির নেই। ২৪ বছর ধরে আমি সদস্য থাকবো মমতা ব্যানার্জি কিছু করতে পারবেন না।”
রাজ্যের উত্তর বঙ্গে শিশুদের আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রীকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভবানীপুর থেকে জেতার জন্য তাঁর ব্যস্ততা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সেই কারণে দুধের শিশুরা চিকিৎসা পাচ্ছে না। আজকে স্বাস্থ্য সচিবকে নিয়ে এসএসকেএমে যেভাবে মিটিং করেছেন সেটা নির্বাচন বিধিভঙ্গ। তিনি প্রার্থী অথচ তিনি নিজেকে মুখ্যমন্ত্রী ভাবছেন।” শিশুদের মধ্যে কোভিডের লক্ষণ থাকা সত্বেও তাদের কোভিড পরীক্ষা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁর। তিনি বলেন, “আজকে নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দফতর। এখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসার পরিকাঠামোর যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই। অন্ততঃ বাড়ির সদস্যদের অনুমতি নিয়ে শিশুদের কোভিড পরীক্ষা করান। আর যদি কোনও শিশুর অবস্থা গুরুতর হয় ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতা কিংবা অন্য কোথাও নিয়ে গিয়ে সরকারি ভাবে চিকিৎসা করানো হোক ।”
আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, জেলা বিজেপি সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী সহ স্থানীয় বিধায়ক সুদীপ মুখার্জি সহ জেলার ৬ বিধায়ক ও অন্যান্য নেতৃত্ব।