সমাজে পিছিয়ে পড়া হিন্দুদের জন্য লড়াই করছে সিংহ বাহিনী

আমাদের ভারত,২২ নভেম্বর: আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে বিশ্ব মানচিত্রে হিন্দুদের অস্তিত্ব সংকটে। তাই আপামর হিন্দু জাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য লড়াই করছে সিংহ বাহিনী। গ্রামে গঞ্জে খেটে খাওয়া দিনমজুর, চাষী কিংবা রিক্সাওয়ালা সকলেই যারা প্রতিদিন নিজের জমি ও ধর্ম রক্ষার লড়াইয়ে সামিল তাদের জন্য পথে নেমেছে সিংহ বাহিনী বলে জানালেন সংগঠনের সভাপতি দেবদত্ত মাজি।

২০১৮ সালে হিন্দু স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে সিংহ বাহিনীর পথ চলা শুরু। পশ্চিমবঙ্গ সহ উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্য গুলিতে রয়েছে এই সংগঠনের বিস্তার।
সিংহ বাহিনীর সভাপতি জানান, তাদের কাজ ধর্মীয় কারণে নিপীড়িত হিন্দুদের বাঁচানো। একই সঙ্গে হিন্দুদের নিজের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করার জন্য সচেতন করা। তিনি বলেন, সিংহ বাহিনী সমাজের আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষ যেমন আদিবাসী সম্প্রদায়, তপশিলি জাতি ও উপজাতির মানুষের ক্ষমতায়নের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। যে হিন্দুরা জমি রক্ষার্থে লড়াই করছেন তাদের আইনি ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে সিংহ বাহিনী। যাতে তারা তাদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালিয়ে যেতে পারে।

দেবদত্ত বাবু বলেন, শুধু আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া গ্রামের হিন্দুরাই নয়, তারা শহুরে হিন্দুদের সচেতন করার কাজ করছেন বড় আকারে। কারণ আজ ভারতবর্ষে সংখ্যালঘু মুসলমানরা আর সংখ্যালঘু নেই। খোদ পশ্চিমবঙ্গেই তিনটি জেলায় সংখ্যালঘু আজ হিন্দুরা। সীমান্তবর্তী এই জেলা গুলিতে আজ সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলিমরা। এছাড়াও রাজ্যের বহু ব্লক আছে যেখানে হিন্দুরা এখন সংখ্যালঘু।

তিনি বলেন, ১৯৭১ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের বড় ভূমিকা ছিল। অথচ সেই বাংলাদেশে আজ সংখ্যা লঘু হিন্দুরা নিপীড়িত। তারা প্রানে বাঁচতে ভারতে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে। দেবদত্ত বাবু বলেন এই সব হিন্দুদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য। একই সঙ্গে তিনি ভারত সরকারকে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার দাবি জানান। তার যুক্তি আমেরিকার মত দেশ যখন তৃতীয় বিশ্বের দেশে তাদের সৈন্য পাঠিয়ে সেদেশের স্বার্থ রক্ষার লড়াই করতে পারে তাহলে কেন ভারতের সৈন্য বাংলাদেশে গিয়ে সেখানকার হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষার স্বার্থে লড়াই করতে পারে না। এব্যপারে তিনি ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে দাবি করেন।

অসমে এন আর সি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দেবদত্তবাবু বলেন, নিরপেক্ষ প্যানেল তৈরি করে সেখানে আবার এন আর সি হওয়া উচিত। একই সঙ্গে তার অভিযোগ এনআরসির সময় মুসলিমরা তাদের সম্প্রদায়ের নিচুতলার মানুষকে তালিকায় নাম তোলার জন্য গাইড করেছিল। অথচ গরিব হিন্দুদের গাইড করার কেউ ছিল না।

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, দেশের উন্নয়নে সবথেকে বেশি হিন্দুদের অবদান থাকলেও তারা তা ভোগ করতে পারবে না, কারণ ভারতবর্ষে যেহারে মুসলিমদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে, তাতে হিন্দুরা নগন্য সংখ্যায় চলে যাবে। আর লাভের গুড় মুসলিমরা খাবে।

দেবদত্ত বাবু বলেন, লাভ জেহাদের ফাঁদে পরা প্রায় ১০০ টি মেয়েকে তারা উদ্ধার করেছেন। তিনি বলেন, ছবি ভিডিও ইত্যাদি দেখিয়ে ব্ল্যাক মেইল করে হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তরিত করে মুসলমানদের সাথে জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই সব ঘটনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে সিংহ বাহিনী।

তার অভিযোগ বিশ্বজুড়ে যে সন্ত্রাসবাদ চলছে তার শেকড় রয়েছে ইসলামী গ্রন্থ গুলিতে। কারণ ভারতবর্ষ, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা কিংবা বিশ্বের যেকোনো জায়গায় যে সন্ত্রাসবাদী হামলা হচ্ছে তার পেছনে শিক্ষিত ও ধনী মুসলিমদের হাত রয়েছে। তাদের ইশারায় ও পরিকল্পনাতেই চলছে এই জঙ্গিপনা।

দেবদত্ত বাবু হিন্দু ধর্মগুরু, ব্যবসায়ী তথা অর্থিক স্বচ্ছলদের কাছে আবেদন করেছেন তারা যেনো আর্থিক পিছিয়ে পড়া হিন্দুদের পাশে দাঁড়ান। কারণ এরাই প্রতিদিন হিন্দু ধর্মের উপর যে আঘাত নেমে আসছে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে। বিহিরের কিষেনগঞ্জের আদিবাসী মানুষের জমি দখলের চেষ্টা করছিল মুসলিমরা। রীতিমতো তির ধনুক নিয়ে লড়াই করে ঐ আদিবাসী জনগোষ্ঠী তাদের জমি ও মহিলাদের সম্মান রক্ষা করেছেন। কিন্তু ভারতের আইন ও বিচার ব্যবস্থায় বহুবার লাঞ্ছিত হয়েছে এই পিছিয়ে পড়া মানুষগুলো। তাই তাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের হয়ে লড়াই করছে সিংহ বাহিনী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *