
আমাদের ভারত,২ অক্টোবর: দেশের নারীদের অধিকার নিয়ে মোদী সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরলেন স্মৃতি ইরানি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহিলাদের নিয়ে হাওয়া সভায় কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি দাবি করলেন, লিঙ্গ সাম্য ও নারীর ক্ষমতায়নকে সামনে রেখেই ভারতে উন্নয়নের কর্মকান্ড পরিকল্পনা করেছে তাদের সরকার।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের সভায় তিনি বলেন, বিশ্বে অর্ধেক শক্তি নারী। সমাজের সব ক্ষেত্রেই তাদের অবদান রয়েছে। রাজনীতি কিংবা অর্থনীতিতেও ভূমিকা রয়েছে মহিলাদের। তাঁর কথায়, আর ভারতের সব ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পের কেন্দ্রে থাকে লিঙ্গ সাম্য ও মহিলাদের ক্ষমতায়নের ভাবনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দূরদর্শী নেতৃত্বে ভারত আজ “নারীর জন্য উন্নয়ন” থেকে ভারত এগিয়ে “নারী নেতৃত্বাধীন উন্নয়নে” সামিল হয়েছে।
নারীর ক্ষমতায়নে মোদী সরকারের কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেছেন স্মৃতি ইরানি। তিনি বলেছেন ব্যাংকিং ব্যবস্থার মধ্যে আনা হয়েছে দেশের কুড়ি কোটি মহিলাকে। ডিজিটাল প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। এতে বীমা আইন ও সামাজিক প্রকল্পে পুরুষের সমান সুযোগ পাচ্ছে মহিলারা। স্থানীয় প্রশাসনে সংরক্ষণ পেয়েছেন মহিলারা। ফলে সেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ১৩ লক্ষ মহিলা প্রতিনিধি।
ভারতের লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে সরকার কড়া আইন এনেছে বলেও দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তার কথায় গত ৬ বছরে কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যৌন হয়রানি, পারিবারিক নির্যাতন ও শিশুদের যৌন নিগ্রহের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে আইন নতুন করে আরও কঠিন করা হয়েছে।
এছাড়াও এদিন স্মৃতি ইরানি দাবি করেছেন করোনা সংকটের মহিলাদের ওপর পারিবারিক নির্যাতন বেড়েছে। তাই তাদের সহায়তা দিতে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। করণা পরিস্থিতিতে চিকিৎসা, মনস্তাত্ত্বিক আর্মি পুলিশের সাহায্য আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করতে ওয়ানস্টপ সেন্টার খোলা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
তবে বিশ্বমঞ্চে নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে এই দাবি করার পর বিরোধীরা সমালোচনার সুরে বলেছেন, কেরলে হাতি মৃত্যু নিয়ে যেভাবে বিজেপি নেত্রী সরব হয়েছিলেন কেন হাতরাসের বেলায় তিনি নিরব। প্রশ্ন তুলেছেন মহিলা মন্ত্রী হয়েও নির্যাতিতার পাশে কেন নেই স্মৃতি ইরানি, নির্মলা সীতারামনরা।