রাজেন রায়, কলকাতা, ২৬ জুলাই: পশ্চিমবঙ্গের হৃদয় জিততে প্রয়োজন বাঙালির আবেগ জয়। একই সঙ্গে ৯ বছর ধরে তৃণমূল সরকার সাধারণ মানুষের জন্য কি কি করেছে, তা ডিজিটালি সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্যও একটি প্ল্যাটফর্ম খুঁজছিল ঘাসফুল শিবির।হিন্দুত্বকে হাতিয়ার করে যখন ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি, তখন ‘বাংলা’ ভাষাকেই জয়ের ভাষা নির্ধারণ করে নতুন ভিডিও সিরিজ উদ্বোধন করল তৃণমূল। যার নাম ‘সোজা বাংলায় বলছি।’
‘বাংলা চালাবে বাঙালিরাই’ একুশের মঞ্চ থেকেই পরবর্তী কর্মসূচির একটা ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে ‘দিদিকে বলো’ ও ‘বাংলার গর্ব মমতা’-র মতো একাধিক কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তার মধ্যেই লোকসভার ড্যামেজ অনেকটাই ভরাট করে দিতে পেরেছিল ‘দিদিকে বলো’। আর এবার তৃণমূল নিয়ে এল তাদের নতুন ভিডিও সিরিজ ‘সোজা বাংলায় বলছি।’
কী কী থাকবে এই ভিডিও সিরিজে? জানানো হয়েছে, সপ্তাহে তিন দিন একটি বেরোবে এই ভিডিও সিরিজ।প্রতি বুধবার এবং শুক্রবার ও রবিবার সকাল ১১টায় একটি এক মিনিটের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকবে। এভাবেই চলবে আগামী কয়েক মাস।
ভিডিও সিরিজের উপস্থাপনায় থাকবেন রাজ্যসভায় সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বিষয়ের প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রগুলির ওপর তৈরি করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভাব-অভিযোগ নিয়েও সরব হবে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন প্রথম ভিডিও ডেরেক ও ব্রায়েন তুলে ধরেন, আমফান করোনার জোড়া ধাক্কার পরেও কি ভাবে তৃণমূলের সুশাসনে পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার সারা দেশে সবচেয়ে কম।
ভিডিও সিরিজের প্রথম পর্বে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা দাবি করলেন, দেশের অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির তুলনায় বাংলায় বেকারত্বের হার অনেকটা কম। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির দেওয়া তথ্যকে হাতিয়ার করে ডেরেক ও’ ব্রায়েন বলেন, “অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলার বেকারত্বের হার কম। আমি বলছি না, সিএমআইই তথ্য বলছে। জুন মাসে ভারতে বেকারত্বের হার ছিল ১১ শতাংশ। যেখানে হরিয়ানায় বেকারত্বের হার ছিল ৩৩ শতাংশ। উত্তরপ্রদেশে ৯.৬ শতাংশ, কর্ণাটক ৯.২ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশ ৮.২ শতাংশ, সেখানে বাংলায় বেকারত্বের হার ৬.৫ শতাংশ। ভোট দেওয়ার আগে ‘একটু ভেবে দেখুন’।
করোনা পরিস্থিতিতে মিটিং মিছিল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই ধরনের ভার্চুয়াল কর্মসূচির মাধ্যমে লাগাতার প্রচার অভিযান চালিয়ে রাজ্যের বর্তমান শাসক দলের সমস্ত উন্নয়ন মুলক কাজ এই কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে। এই ভিডিওগুলিতে দেখানো হবে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গত ন’বছরে বাংলার কতটা অগ্রগতি হয়েছে। এছাড়াও বিজেপির শাসনে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো কীভাবে ‘আক্রান্ত’ হচ্ছে এবং রাজ্যগুলিকে কীভাবে ‘বঞ্চনার শিকার’ হতে হচ্ছে সেটাও তুলে ধরা হবে আগামী দিনে।
শহিদ সমাবেশে মমতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘বহিরাগতরা বাংলা শাসন করবে না। বাংলা চালাবে বাঙালিরাই।’ সেই বাঙালি আবেগ উসকে দিয়েই এবার ‘সোজা বাংলায় বলছি’ কর্মসূচির মাধ্যমে ভার্চুয়াল প্রচার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে তৃণমূল।
No body believes Mamata Banerjee, day in day out giving false statistics on everything about Bengal. Those people living outside Bengal has to face embarrassing question. Orissa ,Assam shows how to tackle covid and look after affected sympathetically.
Nothing will work for the socalled pseudo secular party.