আমাদের ভারত, বর্ধমান, ১৪ সেপ্টেম্বর: বছর দুয়েক আগে নিজের মা’কে খুন করে ঘরের মেঝের মধ্যে পুঁতে রেখেছিল ছেলে। সেই ঘটনা জানাজানি হতেই শহিদুল শেখ ওরফে নয়নকে গ্রেপ্তার করলো বর্ধমান থানার পুলিশ। বর্ধমান থানার হটুদেওয়ান পীরতলা এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলার নাম সুকরানা বিবি (৫৮)। ২০১৯ সালে ১০ জানুয়ারি থেকে তিনি হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান।
মৃতের বড় ছেলে কিসমত আলী পুলিশকে জানান, তার মা সুকরানা বিবি তার ভাইয়ের কাছে থাকতে খুব পছন্দ করত। কিন্তু তার ভাই সেটা পছন্দ করত না। সেই কারণেই এই খুনের ঘটনা। এদিকে ২০১৯ সালের
১০ জানুয়ারি হঠাৎ তার মা নিখোঁজ হয়ে যায়। তারা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কিন্তু তার মা’কে না পেয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি বর্ধমান থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তার মায়ের খোঁজ মেলেনি। এভাবেই দিন চলতে থাকে।
এদিকে দিন কয়েক আগে নয়নের সঙ্গে তার স্ত্রীর অশান্তির জেরে নয়নের স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যায়। এই খবর পেয়ে নয়নের দাদা কিসমত আলী তার ভাইয়ের বউকে বাড়ি ফেরানোর জন্য তাদের বাড়িতে যায়। সেই সময় হঠাৎ নয়নের স্ত্রী তার ভাসুরকে জানায় নয়ন তার মাকে খুন করে মেঝের মধ্যে পুঁতে রেখে দিয়েছে। এই খবর শোনার পর নয়নকে তার দাদা সমস্ত কথা জিজ্ঞাসা করে। কিন্তু নয়ন মুখ খোলেনি। বিষয়টা প্রতিবেশীদের জানাতেই নয়ন ভেঙে পড়ে সমস্ত কথা জানিয়ে দেয়। এর পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ নয়নকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মৃতদেহ মেঝে থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।