আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৭ মার্চ:
ট্রেন-বাস সব বন্ধ লকডাউনে। কিন্তু তাতেও দমবার পাত্র নন দিল্লিবাসী জামাই। সাইকেল চালিয়েই সটান শ্বশুরবাড়ি কাঁথিতে। কিন্তু বাদ সাধল গ্রামের মানুষ। তাদের দাবি ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকতে হবে জামাইকে। এই নিয়ে চলে বিক্ষোভ। শেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবস্থা আয়াত্বে আসে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি এক নম্বর ব্লকের করঞ্জি গ্রামের সুরেন্দ্রনাথ ভূঁঞ্যার এক মেয়েকে দিল্লিতে বিয়ে দেওয়া হয়। সাত বছর আগে দিল্লির এক বাসিন্দা পারভীন তিওয়ারির (৩৬) সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের একটি পাঁচ বছরের কন্যা সন্তান আছে। ছয়মাস আগে পারভিনের স্ত্রী ও মেয়ে দিল্লি থেকে বাপের বাড়ি কাঁথিতে চলে আসেন। পরে পারভিনের শ্বশুরবাড়িতে আসার কথা ছিল। কিন্তু লকডাউনের জন্য ট্রেন, বাস ও সবরকমগাড়ি চলাচল বন্ধ থাকার কারণে তিনি বাধ্য হয়ে নয়দিন সাইকেল চালিয়ে গতকাল রাতে শ্বশুর বাড়িতে এসে পৌঁছন।
এই ঘটনা সকালে পাড়া প্রতিবেশিরা জানতে পারে। এই নিয়ে এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। গন্ডগোলের খবর পেয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু গ্রামবাসীদের একটাই দাবি, তাদের গ্রাম থেকে চলে যেতে হবে আপাতত ১৪দিন। তারপর আধিকারিকরা দিল্লি থেকে আসা পরভীন তিওয়ারিকে সরিয়ে নিয়ে যান স্থানীয় নয়াপুট সাইক্লোন সেন্টারে। সেখানেই আপাতত জামাই পারভিনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ফলে এত কষ্ট করে ৯ দিন সাইকেল চালিয়ে শ্বশুরবাড়িতে এসেও বউের সঙ্গে থাকা হলো না পরভীনের।