আমাদের ভারত, ২২ জুন: হঠাৎই আজ নবান্নে পৌঁছে যান শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। আর তাতেই জল্পনা এখন তুঙ্গে। তাহলে কি শোভন-বৈশাখীর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন হচ্ছে?
মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে শোভন-বৈশাখীর এই আচমকা সাক্ষাৎ কি রাজ্য রাজনীতির প্রেক্ষাপটে নতুন মোড় আনতে চলেছে? মনে করা হচ্ছে এই বৈঠক তাদের দু’জনের তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনার সাক্ষাৎ ইঙ্গিত বহন করছে।
আধ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে কথা হয় তাদের। নবান্ন থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শোভন-বৈশাখী বলেন, “২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর আমি এখান থেকে চলে এসেছিলাম। কিন্তু এই নয় যে দিদির সঙ্গে আমাদের দেখা হয়নি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় ওর সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমাদের মধ্যে যে ভালোবাসা আবেগ রয়েছে সে অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেছি। মমতাদির ইচ্ছে, চিন্তাভাবনা বাস্তবায়িত করা আমার কর্তব্য।”
শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন,” মমতাদির কাছে আসবো। একটু চা খাবো। তার নির্দেশ পালন করব। এটাই তো স্বাভাবিক। পশ্চিমবঙ্গে কেউ অরাজনৈতিক নয়। সাধারণভাবে একটা চিন্তা ভাবনা থাকে। বহিঃপ্রকাশের একটা সময় রয়েছে।
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক একসঙ্গে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত। শোভন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে। আমি দেখলাম ভাই আর দিদির রাজনৈতিক নানা আলোচনা। মুগ্ধ হয়েই সেগুলো দেখলাম। আমি চাই দ্রুত শোভনও রাজনৈতিক জীবনে ফিরুক। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অভিমানের প্রাচীর ভেঙে গিয়েছে আবার পুরনো শোভনকে ফিরে পেলাম।”
২০১৯ সালের আগস্টে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছিল শোভন-বৈশাখী। ২০২১-এ সেই সম্পর্ক শেষ তারা বিজেপি ছাড়েন। তারপর থেকে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না দু’জনের। তবে পদ্ম শিবিরের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে দিলেও রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনা কোনো দিনই উড়িয়ে দেননি শোভন-বৈশাখী জুটি। বৈশাখী বারবার বলেছিলেন, “শোভন চট্টোপাধ্যায়ের এখনো রাজনীতিকে অনেক কিছু দেওয়ার বাকি। সাময়িক আঘাত পেয়েছি, কিন্তু কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।” তাহলে কি যাবতীয় বিতর্ককে সরিয়ে রেখে আবারও নতুন করে রাজনৈতিক ময়দানে ফিরে আসছেন শোভন বৈশাখী? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই আচমকা সাক্ষাত ঘিরে সে প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে।