নীল বনিক, আমাদের ভারত, কলকাতা, ১৫ মে : রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজেদের অনুকূলে টানতে এবার পরিকল্পনা শুরু করল রাজ্য বিজেপি। দলের যুব সংগঠনকে এ ব্যাপারে ময়দানে নামাচ্ছে রাজ্য বিজেপি। রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের সঠিক পরিসংখ্যান জানা নেই রাজ্য বিজেপির। তাই এই কাজে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করতে কয়েকদিনের মধ্যেই আসরে নামছে রাজ্য বিজেপি। শুক্রবার বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজেদের অনুকূল টানতে বৈঠকে বসছে রাজ্য বিজেপির নেতারা।
সূত্রের খবর, বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, থাকছেন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি দেবজিৎ সরকার সহ যুব মোর্চার রাজ্য নেতৃত্ব। লকডাউনের পর রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে বেকারত্ব বাড়বে। সেই সময় তাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের কর্মে যুক্ত হতে বিভিন্ন পরামর্শ দেবেন যুবমোর্চার নেতারা। পরিযায়ী শ্রমিক সহ হকারদের জন্য আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন মোদী সরকার। সেই প্যাকেজে ছোট ব্যাবসার ক্ষেত্রে যাতে সহজেই ঋণ পাওয়া যায় তার জন্য যুবমোর্চার নেতারা সাহায্য করবেন। এমনকি বড়ো শহরে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য পিপিই মডেলে ঘর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সেই ঘর যাতে পরিযায়ী শ্রমিকরা সহজেই পায় তার জন্যও যুবমোর্চার সদস্যরা সাহায্য করবেন। আবার লকডাউন তুলে দেবার পর অনেক পরিযায়ী শ্রমিক ভিন রাজ্যে পাড়ি জমাবার চেষ্টা করবেন। সেই সময় ভিনরাজ্যে পাড়ি দেবার সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের বিশেষ ভাবে সাহায্য করবেন গেরুয়া শিবিরের যুব কর্মীরা। কারণ একটাই ২০২১ এ রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের ভোট। পরিযায়ী শ্রমিকদের মন টানতে পারলে ২০২১ এ ভালো ফল হবে। তার জন্যই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে পেতে এদিন রণকৌশল ঠিক করতে বসেছে রাজ্য বিজেপি।
যুব মোর্চার সহসভাপতি প্রকাশ দাস বলেন, রণকৌশল নিয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কিছুই করেনি। রাজ্য যুবমোর্চা পরিযায়ী শ্রমিকদের উন্নয়নে
সবরকম সাহায্য করবে। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে বন্টন করতে পারলে তাদের উন্নয়ন হবে। আর রাজ্য যুবমোর্চা লকডাউন উঠলেই তা করবে বলে জানান প্রকাশ দাস।