দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলোকে অনুদান দিয়ে ভোটের রাজনীতি করছে রাজ্য সরকার, বললেন বিজেপি নেতা নীলরতন মিত্র

সুশান্ত ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগণা, ১ অক্টোবর: দুর্গাপূজায় বিভিন্ন ক্লাবগুলোকে অনুদান দিয়ে ভোটের রাজনীতি করছে রাজ্য সরকার। যেন মনে হচ্ছে খয়রাতি দিচ্ছে। আসলে বাংলার মানুষকে অপমান করা হচ্ছে। বাংলার যুবকদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার চাঁদপাড়া পশ্চিম মন্ডলের এক কৃষক সুরক্ষা পদযাত্রার শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমন কথাই বললেন বারাসাত সাংগঠনিক জেলার বিজেপি ওবিসি মোর্চার সভাপতি নীলরতন মিত্র। এদিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ও।

তিনি বলেন,পশ্চিমবঙ্গে না আছে আইনের শাসন, না আছে বিচার ব্যবস্থা। এখানে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার খেলায় নেমেছে বর্তমান রাজ্য সরকার। চলছে জমিদারি শাসন ব্যবস্থা। আমরা চেয়েছিলাম পশ্চিমবঙ্গে প্রতিষ্ঠিত হোক জনগণের সরকার। কিন্তু তার পরিবর্তে আমরা পেলাম এক স্বৈরাচারী, জমিদারি শাসন ব্যবস্থা। এখানে ব্যানার্জি পরিবারের শাসন ব্যবস্থা চলছে। যেখানে আমলা থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের কোনও মন্ত্রীর কথাই শোনা হয় না।

শিক্ষামন্ত্রী নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। স্কুল-কলেজের পরীক্ষা কবে থেকে চালু হবে তার কোনও দিশা দেখাতে পারছেন না শিক্ষামন্ত্রী। ধন্দে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্যব্যবস্থার হাল ভেঙে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সব দপ্তর নিজের হাতে রেখেছেন। সব বিশেষজ্ঞরা যেখানে বলেছিলেন করোনা মোকাবিলায় একমাত্র উপায় হল লকডাউন। কেন্দ্রীয় সরকারের সেই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে বিভিন্ন মন্তব্য সহ প্রথমদিকে লকডাউনকে সেভাবে কঠোর ভাবে কার্যকর করেনি রাজ্য সরকার। ফল স্বরূপ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্যের হাতের বাইরে চলে গেছে। অন্যদিকে, দুর্গাপূজায় বিভিন্ন ক্লাবগুলোকে অনুদান দিয়ে ভোটের রাজনীতি করছে রাজ্য সরকার। যেন মনে হচ্ছে খয়রাতি দিচ্ছে। আসলে বাংলার মানুষকে অপমান করা হচ্ছে। বাংলার যুবকদের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে।

তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এক সমীক্ষা অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন ৪৭ শতাংশ উত্তর ২৪ পরগনায় ৫২ শতাংশ। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী ২৭% সংরক্ষণ ওবিসি সম্প্রদায়ের থাকলেও এই রাজ্যের সরকার তাদের খামখেয়ালিপনার জন্য ১৭% ওবিসি সম্প্রদায়ের জন্য রেখে বাকি ১০% এক বিশেষ সম্প্রদায়ের জন্য বরাদ্দ করেছে। আসলে সাম্প্রদায়িক তাস খেলে ধর্মীয় বিভাজন মুখ্যমন্ত্রী তিনি দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদের রাজনীতি করতে চাইছেন। আমরা ভারতীয় জনতা পার্টি অখন্ড হিন্দু জাতি দেখতে চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *