করোনা নিয়ে গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে, হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৭ মার্চ: করোনা নিয়ে গুজব
সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুক্রবার নবান্ন থেকে ফের হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, করোনা নিয়ে নানা রকম গুজব ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ যোগীরাজ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে এদিনই ভুয়ো খবর প্রচারিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর এই খবরকে গুজব বলে জানিয়েছে। যারা এই তথ্য ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে এফআই আর দায়ের করতে বলা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে কোনো চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হননি। এই ধরণের খবর ছড়িয়ে পড়লে আগামী দিনে সমস্যায় পড়বেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। সেক্ষেত্রে করোনার বিরুদ্ধে এই লড়াই চালিয়ে যাওয়াই দুষ্কর হবে বলে স্বাস্থ্য কর্তাদের অভিমত। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে গুজব সৃষ্টিকারীদের কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন,
“ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন যারা তাদের খুঁজে বের করতে রাজ্য পুলিশ, গোয়েন্দা বিভাগ এবং সিআইডি একযোগে কাজ করছে। আগুন নিয়ে খেলবেন না। এসব করলে পুলিশ ছেড়ে কথা বলবে না।”

গুজব না ছড়িয়ে এই রোগের মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়াতে যুবসমাজকে আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যাদের স্বাস্থ্য ক্ষেত্র সম্পর্কে অভিজ্ঞতা আছে সেরকম কর্মহীন যুবরা চাইলে এই সময় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে পারবেন। তারা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকার সে ক্ষেত্রে নির্বাচিত স্বেচ্ছাসেবকদের দৈনিক আড়াইশো টাকা করে ভাতা দেবে বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে পুলিশকেউ মানবিক হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। অত্যাবশ্যকীয় কাজের সঙ্গে যুক্ত কিছু ব্যক্তির উপরে অতি সক্রিয়তা দেখানোয় রাজ্য সরকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে ৮ জন পুলিশকর্মী ও আধিকারিককে ক্লোজ করেছে বলে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে ১২টি অভিযোগ জমা পড়েছিল। পরে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্য সচিব রাজিব সিনহার নেতৃত্বে গঠিত টাস্ক ফোর্স রাজ্যের সব জেলা শাসকদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছে বলে তিনি জানান। ওষুধ, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর যোগানে কোনও সমস্যা নেই বলেও তিনি দাবি করেছেন। করোনা সংক্রান্ত বিষয় গঠিত সরকারি ত্রাণ তহবিল সম্পূর্ণ আয়কর মুক্ত বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে এখনো পর্যন্ত পাঁচ হাজার থার্মাল গান পাওয়া গিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।পরিস্থিতি নিয়ে আগামী ৩১ মার্চ পুনরায় পর্যালোচনা বৈঠক করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। পরে মুখ্যমন্ত্রী এদিন রাজ্য পুলিশের সদর কার্যালয় ভবানী ভবনে গিয়ে পুলিশের উদ্যোগে দরিদ্র মানুষদের হাতে খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট তুলে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *