পুরুলিয়ায় এসবিএসটিসি’র অস্থায়ী কর্মীদের অনির্দিষ্ট কালের কর্মবিরতি

সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২১ সেপ্টেম্বর: দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার পুরুলিয়া ডিপোর অস্থায়ী কর্মীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে প্রভাব পড়ল জেলায়। ট্রেন ও সরকারি বাস না চলায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। শুধু মাত্র কিছু বেসরকারি বাস চলাচল করছে। পুজোর সময় যাতায়াত ব্যবস্থা অচল থাকায় সমস্যায় পড়েছেন নিত্য যাত্রী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা।
সময়মতো বেতন ও মাসের ২৬ দিনের কাজ, সম কাজে সমবেতন, অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ, গোটা রাজ্যে ৮৯ জন বরখাস্ত হওয়া কর্মীকে কাজে ফিরিয়ে নেওয়া, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি, এছাড়াও জেলার সমস্ত রুটে পুনরায় বাস পরিষেবা চালুর দাবিতে এই কর্মবিরতি পালন করছেন কর্মীরা।

এই দাবি গুলি নিয়ে আজ থেকে কর্ম বিরতির ডাক দেয় দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার আইএনটিটিইউসি’র অনুমোদিত অস্থায়ী কর্মী সংগঠন। আজ সকাল থেকে কোনো সরকারি বাস পথে নামেনি। ফলে সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পুরুলিয়ার ডিপো বিএসএস এবং ডিআরডব্লিউ কর্মীদের পক্ষ থেকে। সেখানে বলা হয়েছে “২০২২ তারিখ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার পুরুলিয়া ডিপোর বিএসএস এবং ডিআরডব্লিউ চালক এবং পরিচালকরা কর্মবিরতি আন্দোলন শুরু করছে, এই কারণে সমস্ত বাসে পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে”।

কর্মবিরতিতে থাকা বাস চালক সৌমেন সিং বলেন, “১১ বছর ধরে অস্থায়ীভাবে কাজ করছি। অথচ, অনিশ্চয়তায় কাটাতে হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সম্মিলিতভাবে চিঠি, অনুনয় বিনয় করেছি। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছি। শেষ পর্যন্ত কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হলাম আমরা।”

আন্তঃজেলা পরিষেবায় এই মুহূর্তে পুরুলিয়া ডিপোর বাসের সংখ্যা ১২টি। গত দু’মাস আগে এই ডিপো থেকে ৩০টি রুটে বাস চলাচল করতো। দু’মাসে ১২টি পরিষেবায় নেমে এসেছে। এই ডিপোতে অস্থায়ী ড্রাইভার ও কন্ডাক্টার সংখ্যা ৮৪ জন। এই ডিপো থেকে ৩০টি রুটে বাস চলাচল করার কথা। যার মধ্যে জেলার মধ্যে ১০টি রুট ও ২০ টি দূরপাল্লার বাস অন্যান্য জেলায় চলাচল করে বলে জানান পুরুলিয়া ডিপোর ইনচার্জ ইন্দ্রজিৎ বন্ধোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “পূর্ব ঘোষিত কর্মবিরতি নয়, খানিকটা আচমকাই। গোটা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”

সরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন জেলার যাত্রীরা। দূরপাল্লার বেসরকারি বাস যেমন মালদা, বহরমপুর, কলকাতা সেই অর্থে দিনের বেলায় চলাচল করে না। এক দিকে কুড়মি সমাজের অবরোধের জেরে টানা তিনদিন ধরে রেল পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পুরুলিয়ার যাত্রীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *