ছন্দপতন! “একসাথে কাজ করা সম্ভব নয়, মাফ করবেন”,সৌগতকে জানালেন শুভেন্দু

আমাদের ভারত, ২ ডিসেম্বর:”একসাথে কাজ করা মুশকিল , আমায় মাফ করবেন” সৌগত রায়কে হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ করে এভাবেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে সৌজন্য বৈঠকের ছন্দপতন ঘটালেন শুভেন্দু অধিকারী। বৈঠকের ১২ ঘন্টা না কাটতেই শুভেন্দু বিতর্ক আবার নতুন মোড় নিল।

আজ দুপুরে তৃণমূলের বরিষ্ঠ সাংসদ সৌগত রায়কে হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ করেন শুভেন্দু বলে খবর। জানা গেছে , তিনি লিখেছেন, “আমার বক্তব্যের এখনো সমাধান করা হয়নি। সমাধান না করে আমার উপর সব চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ৬ ডিসেম্বর আমার সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা ছিল। সাংবাদিক সম্মেলন করে সব জানানোর কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই আপনারা প্রেসকে সব জানিয়ে দিলেন। ফলে একসাথে কাজ করা মুশকিল। আমাকে মাফ করবেন।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মঙ্গলবার রাতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোরের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের পর দলের সাংসদ সৌগত রায় দাবি করেছিলেন সব সমস্যা মিটে গেছে। সূত্রের খবর বৈঠকে সৌগত রায়ের ফোন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও স্পিকারে কথা বলেন শুভেন্দু। কিন্তু ১২ ঘন্টা না যেতেই ছন্দপতন। বুধবার দুপুরেই শুভেন্দুর মান ভঞ্জনের দায়িত্বে থাকা সৌগত রায়কে ম্যাসেজের মাধ্যমে শুভেন্দু নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন। তার পক্ষে একসাথে কাজ করা মুশকিল বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু। আর এতেই এই সমস্যার এক নয়া মোড় নিল।

দলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের প্রতি অসন্তুষ্ট শুভেন্দু। গত ৩০ অক্টোবর নন্দীগ্রামের সভা থেকে স্পষ্ট হয়েছিল তার। তিনি বলেছিলেন, “আমি প্যারাসুটে নামিনি, লিফ্টেও উঠিনি। ধাপে ধাপে এই জায়গায় পৌঁছেছি।” এরপর তৃণমূলের ব্যানার পতাকা ছাড়াই একের পর সভা করেন তিনি। জেলায় জেলায় চালিয়ে যান জনসংযোগ। পাহাড়ে থেকে একেবারে জঙ্গলমহল পর্যন্ত দাদার অনুগামীদের নামে পোস্টার পরে। এরপর ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রাম দিবসে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি ও তৃণমূলের ব্যানারের জোড়া কর্মসূচি ঘিরে সঙ্ঘাত চরমে ওঠে।

এর মধ্যে শুক্রবার মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন শুভেন্দু। ফলে সবকিছু মিলিয়ে অন্যরকম বার্তা পাওয়া যাচ্ছিল। তবে শুরু থেকেই এই বরফ গলানোর বিষয়ে আশাবাদী ছিলেন সাংসদ সৌগত রায়। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শুভেন্দু। বৈঠকে ছিলেন প্রশান্ত কিশোর সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শোনা যাচ্ছে প্রশান্ত কিশোর যে ওই বৈঠকে থাকবেন তা শুভেন্দু আগে থেকে জানতেন না।

তবে সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে বলে তৃণমূল যে দাবি করতে শুরু করেছিল। তা একেবারে আবার মাঠে মারা গেলো। শুভেন্দুর এই হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা নয়া মোড় দিল এই বিতর্কে। এদিকে বিজেপি দুহাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে। ফলে এখন দেখার শুভেন্দুর পরের পদক্ষেপ কি হয়।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here