আমাদের ভারত, ১৬ ডিসেম্বর: আজকেই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরেই তার এক বিস্ফোরক চিঠি টুইটারে পোস্ট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। চিঠিতে শুভেন্দু রাজ্যপালকে লিখেছেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হতে পারেন তিনি। তিনি দাবি করেছেন মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হতে পারে তাকে। এই বিষয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘আমায় মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার চেষ্টা হচ্ছে। আমার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে”। এই বিষয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি লিখেছেন,”সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে আপনার হস্তক্ষেপ চাইছি। যাতে আমার ও আমার অনুগামীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ফৌজদারি মামলা রুজু থেকে পুলিশ প্রশাসনকে নিরস্ত করা সম্ভব হয়।”
তিনি আরো লিখেছেন, জনস্বার্থেই তিনি মন্ত্রীত্ব পদত্যাগ করেছেন। অবস্থান পরিবর্তন করতেই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ শুভেন্দু বিধানসভায় গিয়ে নিজের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। বিধানসভার সচিবের হাতে ইস্তফা দেন তিনি। যদিও বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন তিনি বিধানসভায় ছিলেন না, তিনি শুনেছেন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বিধানসভায় গিয়ে পদত্যাগপত্র খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।
Suvendu Adhikari former minister @MamataOfficial has by way of representation sought my intervention so that police @WBPolice @KolkataPolice and administration are dissuaded from implicating him and associates in criminal cases out of political vendetta.
Taking expected steps. pic.twitter.com/NXwH914Eog
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 16, 2020
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিধানসভার নিয়মাবলী অনুযায়ী ইস্তফা পত্রের যে ফরম্যাট আছে তাতে বলা আছে কত তারিখ থেকে ইস্তফা কার্যকরী হবে তার উল্লেখ করতে হবে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর জমা দেওয়া ইস্তফাপত্রে কবে থেকে তা কার্যকরী হবে সেই তারিখের উল্লেখ নেই।
তবে শুভেন্দুর রাজ্যপালকে দেওয়া চিঠিটি টুইট করে জগদীপ ধনকর জানান, শুভেন্দু তার হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন এবং এই বিষয়ে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।
শুভেন্দুর এই পদক্ষেপ প্রত্যাশিত হলেও একুশের বিধানসভার আগে তৃণমূলের কাছে নিঃসন্দেহে এটি বড় ধাক্কা। অন্যদিকে শুভেন্দুর ইস্তফায় উৎসাহিত বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের ধারণা আগাম সতর্কতায় রাজ্যপালকে এই চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।