
আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ৩০ নভেম্বর: হিলিতে গরু পাচারকারীদের তান্ডবে কৃষকের কান কাটার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই সংসদে সরব বালুরঘাটের সাংসদ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএসএফকে বাড়তি দায়িত্ব দেবার দাবি। ৭২ ঘন্টা পরেও অধরা অভিযুক্ত পাচারকারীরা।
শুক্রবার জেলার সীমান্ত অধ্যুষিত কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে লোকসভায় জোড়ালো বক্তব্য রাখেন তিনি। সাংসদ বলেন, ছেলেবেলা থেকে নিজে চোখে দেখেছেন তিনদিক বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেরা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পাচার। সীমান্তের বেশকিছু এলাকা কাঁটাতার বিহীন থাকায় গরু পাচার দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবার সকালে হিলির পাঞ্জুলের বৈগ্রামে জমির ফসল নষ্ট করে গরু পাচারের প্রতিবাদ করায় পাচারকারীদের আক্রমনে এক কৃষকের কান কাঁটা গিয়েছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছেন অপর এক কৃষকও। যে ঘটনা তুলে ধরেই সংসদে সরব হন সুকান্ত মজুমদার। সীমান্তে কৃষকদের এমন ফসল নষ্ট করে দেদার গোরু পাচারের কাজের জন্য পুলিশ প্রশাসনকেই প্রত্যক্ষভাবে দায়ী করে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্ষমতা বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
তাঁর অভিযোগ, সীমান্তের ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফের ক্ষমতা রয়েছে। বাকিটা দেখে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুলিশ। আর সেই দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন হচ্ছে না বলেই ঘুম উড়েছে সাধারণ কৃষকদের। সীমান্তে কৃষকদের সমস্যা মেটানোর পাশাপাশি গরু পাচারের কাজ বন্ধ করতে বিএসএফকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়ার দাবি লোকসভার স্পীকারকে জানান বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। একই সাথে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় শোরগোল পড়েছে সর্বত্র।
এদিকে সাংসদের অভিযোগ সত্য প্রমাণিত করে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আক্রান্ত কৃষকের পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ৭২ ঘন্টা পরেও অধরা মূল অভিযুক্ত তাপস রায়। যাকে ঘিরে নিরাপত্তা নিয়ে সীমান্ত শহরে প্রশ্নের মুখে পড়েছে হিলি থানার পুলিশ।
সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, বিএসএফ সক্রিয় থাকলেও পুলিশ নির্বিকার রয়েছে। ফলে বিএসএফকে যাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয় সেই দাবিই তুলে ধরা হয়েছে সংসদে।
ডিএসপি ধীমান মিত্র জানিয়েছেন, এখনও এই ঘটনায় কাউকেই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে লিখিত অভিযোগের পরেই ঘটনার তদন্তে নামা হয়েছে।