আরও একজন বেসুরো! শুভেন্দু একটা কথাও রাখেনি তোপ সুনীল মন্ডলের

আমাদের ভারত, বর্ধমান, ১৫ জুন:
তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে তোলাবাজের দল  বলে একাধিকবার তোপ দেগেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে  তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া সাংসদ সুনীল মণ্ডল। এবার সেই শুভেন্দু অধিকারী  কথার খেলাপি করেছেন বলে সুর চড়ালেন সুনীল মন্ডল। তাকে তিনি প্রতারকের সঙ্গে তুলনা করেন। পাশাপাশি এদিন দিল্লি থেকে ভোটের প্রচারে আসা বিজেপি নেতৃত্বকেও একহাত নেন তিনি। স্বভাবতই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে শুরু করেছে তাহলে কী এবার বেসুরো সুনীল মন্ডল? তিনি কি মুকুল রায়ের হাত ধরে ফের তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার চেষ্টা করছেন৷

সুনীল মন্ডল জানান তিনি বেসুরো হওয়ার মতো কথা কিছু বলেননি। তার মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। সেইমতো তিনি ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করেছেন। তবে মুকুল রায়ের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সখ্যতার জন্য কথা হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। তবে এর সঙ্গে রাজনীতির কোন ব্যাপার ছিল না বলে তিনি কথা এড়িয়ে যান।

শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে ঠিক কী বলেছেন সুনীল মন্ডল?

সুনীল মন্ডল এদিন সাংবাদিকদের বলেন,’শুভেন্দু অধিকারী আমার বাড়িতে এসেছিল। আমার সঙ্গে যে প্রতিজ্ঞা করেছিল এবং যে কথাগুলো বলেছিল তার একটা অক্ষরও মানেনি।
আমায় বলেছিল আমরা দাদা ভাই মিলে একসাথে সাংগঠনিক নেতৃত্ব দেবো।শুধু আমি নয় অনেকের সঙ্গেই সেটা করেছে। যারা যারা গেছিলাম সবার সঙ্গেই কথাবার্তা চলছে। সেদিক থেকে পরে আমরা জানাবো। পরে আমার ফোনও ধরেনি।’

পাশাপাশি নির্বাচনের সময় ভিনরাজ্য থেকে যেসব মন্ত্রী ও বিজেপি নেতারা প্রচার করতে এসেছিলেন তাদেরও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সুনীল মন্ডল। তিনি বলেন পচা শামুকেও পা কাটে। একটা ভোটের অনেক দাম।তাই বিজেপি সাংগঠনিক ভাবে যদি এটা ভাবতো যারা বাইরের প্রবাসী এসেছিল তারা বাংলার কী বোঝে।বাংলা নিয়ে তাদের কোন সেন্স আছে? ভোটের দুদিন আগে বাংলার বাইরে থেকে এখানে এসে তারা বাংলার মানুষের মন জয় করবে? এই জায়গাটা আমি ঠিক ভাবিনি। আমি দেখেছি যারা প্রবাসী এসেছিল তাদের রাজনৈতিক জ্ঞান একেবারেই ছিল না।তারপর তাদের ভাষাগত পার্থক্য ছিল।এখানকার গ্রামে গঞ্জের মানুষ হিন্দি বুঝতে পারে না তারা হিন্দি বলবে কীভাবে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তিনি। দলকে সে কথা যে বলব সেই সুযোগ আমার ছিল না। শুধু মিটিং মিছিল জনসভা করলেই হবে না মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। আজ তথাগত ও দিলীপ ঘোষ যেভাবে বলেছেন আগে যারা উনিশের পরে এসেছে তারা আগে বিজেপি হোক তারপর আমরা তাদের সম্বন্ধে ভাববো, এই কথাগুলো বলাই তো অন্যায়।
তাহলে কি এবার সুনীল মন্ডল বেসুরো?
সুনীল মন্ডলের মতে, তিনি যেটা ঠিক মনে করেছেন সেটাই বলেছেন। তিনি এখনো তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সেকথাও স্মরণ করিয়ে দেন। সেইসঙ্গে বলেন,  মুকুল রায়ের সঙ্গে ব্যক্তিগত সখ্যতা থাকায় তার সঙ্গে ফোনে কথা হয়। এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। স্বভাবতই সুনীল মন্ডল বেসুরো হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে চাইছেন এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *