আমাদের ভারত, ২৫ জুন : গালওয়ানে বড়সড় পদক্ষেপ নিল ভারত। এখনও পর্যন্ত সেখানে যে উত্তেজনা পুরোপুরি কমেনি তা আবার বোঝা গেল ভারতীয় সেনার এই পদক্ষেপে। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ট্যাঙ্ক T-90 ভীষ্ম লাদাখে মোতায়েন করল সেনা।
দু’দেশের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে এলাকা থেকে সেনা সরানোর ব্যাপারে ঐক্যমত হয়েছে উভয় পক্ষ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদৌ চিন তা মানবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। আর এই পরিস্থিতিতেই পূর্ব লাদাখে মোতায়েন করল T-90 ভীষ্ম ট্যাঙ্ক মোতায়েন করল সেনা বলে খবর একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
সারাবিশ্বে স্থল যুদ্ধে এই T-90 ভীষ্ম ট্যাঙ্ক এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী ট্যাংক বলে মনে করা হয়। এলএসিতে উত্তেজনার কথা মাথায় রেখেই চলতি মাসের প্রথমেই T-90 ট্যাঙ্ক নিয়ে গিয়েছিল সেনা সেখানে। আশঙ্কা ছিল গালওয়ানে আরো খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে চিন।
এছাড়াও ভারতের ২০ জন জওয়ান শহীদ হওয়ার পর চিনা আগ্রাসনের জবাব দিতে সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যেই লাদাখে ঘুরে গিয়েছেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে।
সূত্রের খবর মে মাস থেকেই সীমান্তে যুদ্ধ সরঞ্জামএকত্রিত করেছিল চিন। ভারত বারবারই বলে আসছিল প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে তিব্বতে একটি রানওয়ে তৈরি করেছে চিন। সেখানে মোতায়েন করেছে ফাইটার জেট।
তবে ট্যাঙ্কের সংখ্যার নিরিখে চিনের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ভারত। চিনের হাতে রয়েছে ৩৫০০টা ট্যাঙ্ক সেখানে ভারতের হাতে রয়েছে ৪২৯২ টি ট্যাঙ্ক।
T-90 ভারতের প্রধান ব্যাটেল ট্যাংক। অত্যন্ত শক্তিশালী এই ট্যাঙ্ক রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্র প্রতিরোধী। মাত্র ৬০ সেকেন্ডে ৮টি সেল ফায়ার করতে পারে। ট্যাঙ্কের প্রধান কামানের মাপ ১২৫ এম এম।ছয় কিলোমিটার পর্যন্ত মিসাইল ছুটতে পারে এটি। দুনিয়ার সবচেয়ে হালকা ট্যাংক ওজন ৪৮ টন। দিন হোক কিংবা রাত সবসময় লড়াই করতে সক্ষম এই ট্যাঙ্কে রয়েছে হাজার হর্সপাওয়ারের ইঞ্জিন ও মিসাইল প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। ঘন্টায় ৭২ কিলোমিটার বেগে দৌড়াতে সক্ষম এটি। টানা ৫৫০ কিলোমিটার চলতে পারে ট্যাঙ্কটি।