বাক্যবাগীশ দিলীপ-বাবুল, দিনভর মজা লুটলো তৃণমূল

তারক ভট্টাচার্য
আমাদের ভারত, ১৩ জানুয়ারি: একজন বলছেন, দেশদ্রোহীদের উত্তরপ্রদেশের কায়দায় গুলি করে মারা হবে। অপরজন তখন দেখাতে চাইলেন, দল সামলানোর মতো তিনি সাবালক হয়েছেন। আর সেকথা বোঝাতে কখনও টুইট, কখনও সাংবাদিকদের মুখোমুখি বসে বললেন, প্রথমজন যা বলেছেন তা দলের বক্তব্য নয়। একান্তই ব্যক্তিগত মতামত।

সর্বভারতীয় এবং অন্যদের চেয়ে আলাদা বলে দাবি করা দলের কেন্দ্রীয়স্তরে পৌঁছনো দুই প্রথমসারির রাজ্যনেতার এই আকচাআকচিতে সোমবার দিনভর মজা লুটলো তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের স্বঘোষিত যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো টুইট পর্যন্ত করে বসলেন। লড়াইয়ের সময় ষাঁড়ের ল্যাজ মুচড়ে দেওয়ার কায়দায় তিনি টুইট করেন, ‘দিলীপবাবু আপনি পরিষ্কার করে জানান, এটা আপনার ব্যক্তিগত মত না-দলের?’

মজা নেওয়া থেকে বাদ গেলেন না তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রীতিমতো গবগবিয়ে ফোনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘একজন দোষ করেছেন। অন্যজন সেই দোষ ঢাকার চেষ্টা করছেন। দিলীপ ঘোষের কোনও রাজনৈতিক সংস্কৃতি নেই। এইরকম মন্তব্যই করেন। বাবুলও কিছু কম যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢুকে কুকথা বলেছে। উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।’ তবে, তাঁর দলের এই দুই শীর্ষস্থানীয় নেতাকে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সময় রীতিমতো যেন বলে বলে গোল দিলেন ফিরহাদ হাকিম। এদিন এই প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সময় কলকাতা পুরসভায় যেন স্বয়ং জ্যোতি বসু ভর করেছিলেন। জ্যোতি বসুর উক্তি ধার করেই ফিরহাদ বললেন, ‘এই দলটা বর্বর, উগ্রপন্থী।’ এসব শুনে তখন বোঝা মুশকিল কে বলছেন, ফিরহাদ না বসু!

রাজ্যের শাসক নেতাদের এই মজা উপভোগে পরে বাড়তি জুড়ে দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন জেলায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দলের মত কে ঠিক করে দেবে, বাবুল না অমিত শাহ! এই সব অরাজনৈতিক লোকেদের নিয়েই সমস্যা। যেমন, চন্দ্র বসু।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *