
আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৯ ডিসেম্বর: টানা তিন ঘণ্টা অন্ধকারে ডুবে থাকল তমলুক জেলা হাসপাতাল। ভুতুড়ে বাড়ির আকার ধারণ করল পুরো হাসপাতাল। অন্ধকারে পড়ে রইল শয়ে শয়ে রোগী।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার, জেলা সদর তমলুক। সেই তমলুক জেলা হাসপাতাল অন্ধকারে ডুবে রইল টানা তিন ঘণ্টা। বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত অন্ধকারে ডুবে রইল প্রায় পুরো হাসপাতাল। ইমারজেন্সি থেকে শুরু করে শিশু বিভাগ, অর্থোপেডিক, পুরুষ বিভাগ, বার্ণ ইউনিট, সার্জিক্যাল সহ পুরো হাসপাতাল হয়ে ওঠে ভুতুড়ে বাড়ির মতো। কোনও কোনও জায়গায় এক-আধটা মোমবাতি জ্বলতে দেখা যায় পুরো হাসপাতালে। বন্ধ হয়ে যায় চিকিৎসা পরিষেবা। কারোর স্যালাইন শেষ হয়ে গেছে। কেউবা যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। দেখা নেই চিকিৎসক-নার্স কারোর। বিভিন্ন বিভাগে কয়েকশো রোগী অন্ধকারে পড়ে থাকে দীর্ঘ সময়।
মেডিকেল কলেজ নির্মাণের কাজ চলছে। পুরনো বিল্ডিং ভাঙ্গার কাজ চলছে। সেই কাজ করতে গিয়েই কোনও ভাবে বিপত্তি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই বিদ্যুৎ বিপর্যয় নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। খবর পেয়ে ছুটে আসেন তমলুক থানার পুলিশ। শেষ পর্যন্ত রাত্রি সাড়ে আটটার সময় চালু হয় বিদ্যুৎ পরিষেবা। হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন রোগী ও রোগীর আত্মীয়রা।
বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ইমারজেন্সি ওয়ার্ড থেকে শুরু করে প্রায় পুরো হাসপাতাল থাকলো অন্ধকারে।