পরিবেশ সচেতনতার প্রসারে তারক পাল

মাহাতো, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৯ সেপ্টেম্বর: পরিবেশ সচেতনতার প্রসারের জন্য
১লা সেপ্টেম্বর থেকে উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়ার ভূতবাগানের বাসিন্দা তারক চন্দ্র পাল নদিয়া, বর্ধমান বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে সাইকেলে যাত্রা শুরু করছেন। যাত্রাপথে স্থানীয় মানুষজন ও বিভিন্ন সংগঠনের সহযোগিতায় প্রচার চালাচ্ছেন এবং বিভিন্ন জায়গায় গাছ লাগাচ্ছেন। ‌ একই সঙ্গে তিনি প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগ বর্জন, জল সংরক্ষণ, বন্যপ্রাণী সুরক্ষা, জলাভূমি রক্ষা বিষয়ে প্রচার করছেন। ‌

তারকবাবু এবছর জানুয়ারি মাসে অসম সরকারের আমন্ত্রণে গন্ডার সংরক্ষণ নিয়ে প্রচারের জন্য অসম যাত্রা করেছিলেন। সেখানের সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়।

ইতিপূর্বে তিনি ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত ঝাড়খন্ড ও ওড়িশা সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সাইকেলে পরিবেশ রক্ষার প্রচার অভিযান চালিয়েছেন। ‌

আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে তিনি দ্বিতীয়বারের জন্য পরিবেশ সচেতনতা প্রচারের লক্ষ্যে সাইকেলে ভারত ভ্রমণে বের হবেন এবং ভারত ভ্রমণের পর তিনি ২০২৩ সাল নাগাদ সাইকেলে বিশ্বভ্রমণে পাড়ি দেবেন বলে তারকবাবু জানিয়েছেন।

তাঁর বক্তব্য,”আমরা বাবা ও মাকে প্রত্যেককেই ভালোবাসি। তাই বাবা ও মায়ের নামে দুটি করে গাছ লাগান। বাবা-মা পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার পরেও, সেই গাছ দুটি থেকে যাবে পৃথিবীতে। ‌তাঁর ছায়ার তলায় যখন বসবেন, তখন মনে হবে বাবা ও মা আপনার মাথার উপর আছে। আপনি মানসিকভাবে ভীষণ আনন্দ পাবেন। ‌সন্তান সন্ততির জন্মদিনে তাঁদের নামে গাছ লাগান। এছাড়াও যিনি আপনাকে ভালোবাসে না, তাঁর নামে গাছ লাগান, দেখবেন একদিন তাঁর কাছ থেকে ভালোবাসা পাবেন।”

এইভাবে গাছ লাগালে আমাদের আয়ু কেবলমাত্র ৭০/৮০ বছর নয়, গাছের মাধ্যমে পৃথিবীতে আমরা থেকে যাব প্রায় ৩০০/৪০০ বছর, বা তারও বেশি। ‌এইভাবে যদি আমরা গাছ লাগাই, আমরা একদিন সবুজ পৃথিবী দেখবো। ‌ দূষণমুক্ত পৃথিবী দেখবো। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পৃথিবীতে মুক্তির স্বাদ পাবে। “

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *