আমাদের ভারত, ২৪ সেপ্টেম্বর: তিনি গত ৩০ বছরের একনিষ্ঠ বিজেপির কর্মী। একসময়ের রাজ্যের বিজেপির সভাপতি। তবু তিনি পাচ্ছেন না দলের সক্রিয় মেম্বারশিপ। একটি ভাইরাল ভিডিওতে এই নিয়ে তথাগত রায়ের গলায় শোনা গেল ক্ষোভের সুর। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন তার মতো একনিষ্ঠ বিজেপি কর্মীকে সক্রিয় মেম্বারশিপ দেওয়ার উদ্যোগ না নেওয়া হলেও, বেনোজলেরা দলে প্রাধান্য পাচ্ছে।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে বলতে শোনা গেছে, “এই প্রশ্নটা তো আমারও। আমি ৩০ বছর বিজেপি করেছি। আর এখানে আমি রাজ্য সভাপতি ছিলাম। একটি স্টেট কমিটি করেছে। সেখানে তো আমাকে নেয় নি। অ্যাক্টিভ মেম্বারশিপের জন্য কাগজটা রাজ্য অফিসে দিতে পারলাম না। আমাকে গিয়ে প্রভারীর কাছে দিয়ে আসতে হল।” অর্থাৎ তাঁর কথায় স্পষ্ট যে তার সক্রিয় মেম্বারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে একটি সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে তিনি বলেন, “রাজ্য নেতৃত্ব নয়, রাজ্য অফিসের কিছু কর্মচারী বা কিছু ওইরকম মানুষ যারা বুড়োক্রেটিক আচরণ করছে।এই বুড়োক্রেটিক আচরণের ফলে আমার অ্যাকটিভ মেম্বারশিপ এগোচ্ছে না, এটা চলতে পারে না।”
তবে শুধু সক্রিয় মেম্বারশিপের প্রসঙ্গই নয়, এই ভাইরাল ভিডিওতে তথাগতের গলায় শোনা যাচ্ছে আরও একটি বিষয়, যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে তিনি যখন বিজেপি রাজ্য সভাপতি ছিলেন সেই সময়ের সঙ্গে কার্যত এখনকার তুলনা টেনেছেন তথাগত রায়। তার কথায়, “আমি যখন দলের সভাপতি ছিলাম তখন তো এরকম অবস্থা ছিল না। তখন আমরা ঘুরে ঘুরে পয়সা জোগাড় করতাম। এখন টাকা গড়াগড়ি যাচ্ছে, টাকার জন্য, সেই টাকা খাওয়ার লোকও এসে গিয়েছে।” এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের তরফে তাকে
প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,
অন্য দল থেকে যারা বিজেপিতে এসেছে তিনি তাদের কথা বলতে চেয়েছেন। তাঁর কথায় “ইদানিংকালে দলে বহু লোক চলে এসেছে। কেউ তৃণমূল থেকে এসেছে, কেউ সিপিএম থেকে চলে এসেছে। এরা তো বেনোজল। তাদের অনেককে দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। আমি নাম করছি না, কিন্তু সবাই জানে তাদের কারো কারোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এবং পরে দেখা গেছে তারা সেই দায়িত্ব নেওয়ার যোগ্য নয়। ফলে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।”
এই ভাইরাল ভিডিও ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল জল্পনা। তথাগত রায়কে সক্রিয় মেম্বারশিপ দেওয়াকে কেন্দ্র করে যে অভিযোগ উঠেছে তাতে ২১ এর নির্বাচনের আগে রাজ্য বিজেপির দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসছে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।