রাজেন রায়, কলকাতা, ১৮ সেপ্টেম্বর: ১ সেপ্টেম্বর শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের তরফ থেকে বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল রাজ্যপালকে। আজ সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই হস্তক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল। গত ১০ দিন ধরে গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন মইদুল ইসলাম। শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের বঞ্চনার অভিযোগে বিষপানের ঘটনার উল্লেখ করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে চিঠি দিয়েছিল শিক্ষকদের সংগঠন। সেই ইস্যুতেই এবার হস্তক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল। আন্দোলন সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সচিবের কাছে জানতে চাইলেন তিনি।
মইদুল ইসলামের বাড়ির সামনে চলছে পুলিশের নজরদারি। রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার কমিশনে নালিশ জানান তিনি। কোনও কারণ ছাড়াই তাঁকে অন্যায় ভাবে হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। বেলেঘাটার চালপট্টি এলাকায় তাঁর শ্বশুরবাড়ির সামনে রয়েছে পুলিশ।
গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা নাগাদ নিউটাউন নর্থ থানা ও বেলেঘাটা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক মইদুল ইসলামের শ্বশুর বাড়িতে যায়। বেলেঘাটা ৫১/বি/ এইচ চালপট্টি এলাকায় এই ফ্ল্যাট তাঁর শ্বশুরের। বিষপানে শিক্ষিকাদের প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করতে চায় বলে অভিযোগ তোলেন মইদুল। এ নিয়ে আদালতেরও দ্বারস্থ হন তিনি। যদিও রাজ্যের বক্তব্য, গ্রেফতারি নয়, নোটিস দিতে এদিন রাতে পুলিশ তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল। মহিদুলকে রাতে ঘরে থেকে বাইরে বেরিয়ে আসতে একাধিকবার অনুরোধ করেন পুলিশ আধিকারিকরা। সেই সময় মহিদুল জানান, তিনি কোনওভাবেই রাতে থানায় যাবেন না। সকালে তিনি পুলিশের সাথে যেতে রাজি। এই নিয়ে চলে কথা কাটাকাটি।
শিক্ষক আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে তাঁর বাড়িতে পুলিশের এই অভিযান বলে অভিযোগ করেন মইদুল। পুলিশ সূত্রে খবর, বিকাশ ভবনের সামনে শিক্ষক আন্দলনের ঘটনায় শিক্ষিকাদের বিষ খাওয়ার ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাই এই পুলিশি পাহারা চলছে মইদুলের শ্বশুর বাড়ির সামনে। সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করা, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, আত্মহত্যার চেষ্টা, সরকারি কর্মচারিকে আঘাত করা-সহ একাধিক ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে উত্তর বিধান নগর থানায়। শিক্ষিকাদের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করতে এসেছিল বলে সূত্রের খবর।