আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ২৪ জুন: নন্দীগ্রামের আমফান বিধ্বস্ত ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের পরিবারের হাতে শিক্ষা ও খাদ্য সামগ্রী তুলে দিল মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সদস্যরা। আমফান ঝড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরি, নন্দীগ্রাম, সুতাহাটা এবং কাঁথির বিস্তীর্ণ অঞ্চল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আজ নন্দীগ্রামের ব্রজমোহন তিওয়ারি শিক্ষা নিকেতনে নন্দীগ্রামের ১২টি স্কুলের ১০২ জন ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের পরিবারের হাতে শিক্ষাসামগ্রী ও খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
এস টি ই এ -র পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক স্বপন কুমার ভৌমিক জানান, করোনা পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দেওয়ার নামে দেশজুড়ে যেভাবে অনলাইন এডুকেশন চালু করার প্রচেষ্টা চলছে তা কখনোই ক্লাসরুম টিচিং এর বিকল্প হতে পারে না। তাই আমরা শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে দেশের আপামর গরিব ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে বাধ্যতামূলক এই অনলাইন শিক্ষা পদ্ধতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের মধ্যেই ছিলাম। কিন্তু প্রথমে করোনা এবং তারপরে ভয়াবহ আমফান ঝড়ের পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারি না। তাই আমরা ইতিপূর্বে ১১ লক্ষেরও বেশি টাকা সমিতির পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দিয়েছি। এরপর রাজ্যজুড়ে একের পর এক দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা ও আমাদের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সহ সারা রাজ্যে ত্ররকম শিবির চলছে। আমরা ইতিপূর্বে তমলুক খেজুরি এবং আজ নন্দীগ্রামে শিক্ষা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলাম। এছাড়া সুতাহাটা, কাঁথি, এগরা, ময়না, তমলুক সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় এরকম শিবির করার প্রস্তুতি চলছে।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি -পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাখার সভাপতি শুভেন্দু খাটুয়া, জেলা কমিটির সম্পাদক স্বপন কুমার ভৌমিক, জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ দেবরঞ্জন দাস, প্রাক্তন জেলা সভাপতি নিত্যরঞ্জন করন, সমিতির প্রাণপুরুষ এবং রাজ্য কমিটির প্রাক্তন সহ সভাপতি তপন কুমার সামন্ত, খেজুরির নেতৃত্ব অমিতাভ পাখিরা ও দিলীপ মন্ডল, হলদিয়া মহাকুমা সম্পাদক শেখর রঞ্জন মাইতি,আবুল কালাম আজাদ, সুমিত পড়ুয়া, তাপস বাগ,গৌতম রাউত,স্বপন কুমার দাস, জেলা সহ-সম্পাদক বাসুদেব দাস প্রমূখ।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক নন্দীগ্রাম ব্রজমোহন তিয়াড়ী শিক্ষানিকেতনের শিক্ষক ও সমিতির হলদিয়া মহকুমা সম্পাদক শেখর রঞ্জন মাইতি বলেন, এই সমিতির সৈনিক হিসেবে আমি ধারাবাহিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে চাই। যারা সর্বতোভাবে আজকের নন্দীগ্রামের শিবিরকে সফল করার জন্য সহযোগিতা করেছেন তাদের তিনি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।