জে মাহাতো, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ২৯ নভেম্বর: করোনার ভয় কাটিয়ে স্কুল শুরু হলেও স্কুলমুখী হয়নি বহু ছাত্রছাত্রী। তাই মেদিনীপুর শহরের হবিবপুর সরস্বতী বিদ্যামন্দির হাইস্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি গিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার গুরুত্ব বোঝালেন। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে গিয়ে পঠনপাঠন শুরু করেছে। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি মোটেই সন্তোষজনক নয়। সংসার ও পেটের টানে যে ছাত্রছাত্রী কাজে নেমে উপার্জন শুরু করেছে, বিশেষ করে তারা আর স্কুলে আসতেই চাইছে না। অথচ সামনেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। যা নিয়ে চিন্তিত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁরা সোমবার ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদেরও
বোঝালেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মালা মজুমদার জানান, “এই প্রচেষ্টা আমরা আগামী সারা সপ্তাহ জুড়েই করবো। আশাকরি অভিভাবকেরা সচেতন হবেন।”
উল্লেখ্য, এই স্কুলের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী দরিদ্র শ্রমজীবী পরিবারের। তাই অনেক ছাত্র অর্থ রোজগারে ব্যস্ত হয়ে গেছে। কিছু ছাত্রছাত্রী নিয়মিত বিদ্যালয় আসার অভ্যাস হারিয়েছে। করোনা আতঙ্ক কাজ হচ্ছে অনেকের মধ্যেই। প্রধান শিক্ষিকা জানালেন, “করোনা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, করোনা বিধি মেনেই শ্রেণিকক্ষে আমরা পড়াশোনা শুরু করেছি। অভিভাবকদের নিয়ে দফায় দফায় সচেতনতামূলক বৈঠকও করেছি।”
শেষমেষ সবাই কথা দিয়েছে, এবার থেকে নিয়মিত স্কুল যাবে। শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে আলোচনা করার পর ছাত্র-ছত্রীদের স্কুল পাঠানোর ক্ষেত্রে অভিভাবকরাও অনেকটা সচেতন হয়েছেন। স্কুল ছুটদের স্কুল ফেরানোর ক্ষেত্রে সফল হওয়ার প্রত্যাশা করছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।