আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১৬ জানুয়ারি:
জগদ্দল থানার সামনে ৫ নম্বর সাইডিংয়ের একটি মন্দিরের পাশে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে মারপিট হয়। এই ঘটনায় তিনজন গুরুতর আহত হয়। আহতদের নাম বিনোদ চৌধুরী এবং সুবোধ চৌধুরী ও মনোজ চৌধুরী।
স্থানীয় বাসিন্দা সন্তোষ সাউয়ের জমি ঘেরা হচ্ছিল আজ। অভিযোগ, সেই সময় সেকেন্দার ও তার লোকেরা জমি ঘিরতে বাধা দেয় এবং সেই সময় স্থানীয় বিনোদ চৌধুরী, সুবোধ চৌধুরী ও মনোজ চৌধুরী বিষয়টি মেটাতে গেলে তাদের ব্যাপক মারধর করা হয়। সেকেন্দার নিজেকে তৃণমূল কর্মী এবং জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের অনুগামী হিসেবে পরিচয় দেয় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি।
ঘটনায় আক্রান্ত বিনোদ, মনোজ ও সুবোধ চৌধুরী বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। এই গন্ডগোলের পর অন্যান্য বাসিন্দারা আক্রান্তদের ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে বিনোদ চৌধুরীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে কল্যাণী মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। তারপরেও স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
যদিও এই ঘটনায় ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের থানাগুলি হয়ে গেছে গুন্ডাদের আশ্রয়স্থল। রাজ্যজুড়ে দুষ্কৃতীরাজ চলছে, তাছাড়াও এই ঘটনা সমস্ত তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা করেছে। থানার পিছনে জায়গাগুলো নোম্যান্সল্যান্ড হয়ে গেছে।”
অপরদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল যুক্ত নয়, এটা সম্পূর্ণটাই ওদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা। এটা একটা পারিবারিক বিবাদ। জমি নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিবাদ। পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে, প্রশাসন বিষয়টি দেখছে।”
তবে পাল্টা দোষারোপের মধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জগদ্দল থানার পুলিশ।