বনধকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা কোচবিহারে, ভাঙ্গচুর, আগুন

নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার, ১৪ জুলাই: হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের খুনের অভিযোগে বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টা উত্তরবঙ্গ বনধে সকাল থেকেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে কোচবিহারের বিভিন্ন স্থানে। কোথাও ভাঙ্গচুর করা হয় সরকারি বাস, কোথাও আবার হামলার শিকার হলেন তৃণমূল নেত্রী, আবার কোথাও আগুন ধরানো হল মোটরবাইকেও। কোথাও আবার তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হল বিজেপি। জেলার বিভিন্ন স্থানে অশান্তি পাকানোর দায়ে ১৭০ জনের বেশি বিজেপি নেতা ও কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই বনধ এর সমর্থনে পথে নামে বিজেপি কর্মীরা। কোচবিহার উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাস টার্মিনার্সে সরকারি বাস চলাচল বনধ করে দেয় বিজেপি কর্মীরা। বেশ কিছুক্ষন বাস বনধ করে রাখার পর পুলিশ বিজেপি কর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশ ও বিজেপি নেতা কর্মীদের মধ্যে ধস্থাধস্তি বেধে যায়, ১৫ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এর কিছুক্ষন পরেই ঘুঘুমারিতে পরপর তিনটি সরকারি বাস ভাঙ্গচুর করার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এই নিয়ে গুঘুমারিতে উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ লাঠি চার্জ করে। পিলখানা বাজারে তৃণমূল বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেখানে গুড়িয়াহাটি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে রাখা কিছু আসবাব পত্র ভেঙ্গে তাতে আগুন ধরিয়ে দেবার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। পরে ঘুঘুমারিতে তৃণমূল নেত্রী তথা কোচবিহার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন কল্যানী পোদ্দারের গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।

তুফানগঞ্জেও বনধকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছাড়ায়। বলরামপুরে বিজেপি কার্যালয় ভাঙ্গচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তুফানগঞ্জ ২ ব্লকের নাগুরহাটে সেখানে বনধের বিরোধিতায় তৃণমূল কংগ্রেসের একটি মিছিলে হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বেশ কিছু বাইক ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

মাথাভাঙ্গাতেও বনধকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছাড়ায়। সিতাই মোড় এলাকায় বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

এদিন কোচবিহারে এই বনধ সফল বলে দাবি করেছে বিজেপি, জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা রায়। তিনি অভিযোগ করেন, অশান্তি ছড়াতে পুলিশকে সংগে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অশান্তি করেছে তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *