আমাদের ভারত, বাসন্তী, ১১ মে: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসন্তী থানার অন্তর্গত ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁঠালবেরিয়া গ্রামে। এই ঘটনায় বাহারুল সর্দার নামে এক যুব তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। আহতকে উদ্ধার করে বাসন্তী গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সেখান থেকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকার মাদার তৃণমূল নেতৃত্বের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই বাসন্তী থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ।
যুব তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, সোমবার সকালে পঞ্চায়েত প্রধান ইউসুফ মোল্লার বাড়িতে গিয়েছিলেন বাহারুল। সেখান থেকে দুপুর নাগাদ নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে এলাকার তৃণমূল নেতা সাদ্দাম শেখ, ইউসুফ সর্দার ও তাদের অনুগামীরা পথ আটকায় বাহারুলের। বাহারুল প্রতিবাদ করলে তাকে লাঠি, রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন বাহারুল। বাহারুলের চিৎকারে এলাকার মানুষজন বেড়িয়ে এলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
রক্তাক্ত অবস্থায় এই যুব তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে বাসন্তী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এলাকার যুব তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, যুব তৃণমূল করার অপরাধেই তাদের কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান ইউসুফ মোল্লা বলেন, “ পরিকল্পনা করেই আমাদের কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এইভাবেই এলাকায় যুব তৃণমূল কর্মীদের উপর অত্যাচার চলছে”।
যদিও যুব তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। বাসন্তী ব্লক তৃণমূল নেতা মন্টূ গাজী বলেন, “এলাকায় দিনের পর দিন এই বাহারুল ও তার অনুগামীরা অশান্তি সৃষ্টি করছিল। প্রতিদিন এলাকায় বোমাবাজি করছিল। সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে রেখেছিল এই রমজান মাসে। আর সেই কারণেই এদিন এলাকার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওর উপর হামলা করেছে বলে শুনেছি। এই ঘটনায় কোনও রাজনীতি নেই”। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ আটক বা গ্রেফতার হয়নি।