আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ২২ জুলাই:
ক্যানিং স্টেডিয়ামে কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য অস্থায়ীভাবে তৈরি হয় কোভিড হাসপাতাল। সেখানে ক্যানিং মহাকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে কোভিডে আক্রান্ত মানুষদের ভর্তি করে চিকিৎসা চলছে। এতদিন এখানে করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে তাদের দেহ কলকাতার ধাপায় সৎকারের জন্য পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু সেক্ষেত্রে সময় ও খরচ দুটোয় বেশি লাগায় এবার করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতদের দেহ সৎকারের জন্য নব নির্মিত ক্যানিং এর বৈদ্যুতিক চুল্লিকে ব্যাবহারের সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। ইতিমধ্যেই সেই চুল্লি যাতে অবিলম্বে চালু করা যায় সে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতে স্থানীয় বিধায়ক, জেলা পরিষদের সদস্য ও দফতরের আধিকারিকরা মঙ্গলবার বিকেলে সেখানে যান। এ নিয়ে ক্যানিং এর মহকুমা শাসকের দফতরের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সাথে বৈঠক ও করেন তারা।
এখান যেসব আক্রান্ত রোগীরা মারা যান তাদের দেহ সৎকার করতে ক্যানিং থেকে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। এতে একদিকে সময় ও অন্য দিকে খরচ দুটোই বেশি লাগে। দীর্ঘক্ষণ মৃতদেহ পরে থাকলে তা থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভবনা থেকে যায়। সেই কারণে, গত ৭ জানুয়ারি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাথর প্রতিমায় একটি প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ক্যানিং মহকুমার জন্য যে বৈদ্যুতিক চুল্লির উদ্বোধন করেন সেটিকে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরির কাজ সম্পন্ন হলেও কোভিডের কারণেই এতদিন চালু হতে পারেনি। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ক্যানিংয়ের কোভিড হসপিটালে আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে সেই মৃতদেহ কলকাতায় সৎকারের জন্য নিয়ে যেতে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। যার ফলে জেলাশাসকের নির্দেশে ক্যানিংয়ের স্টেডিয়ামের থেকে সামান্য দূরে ক্যানিং বৈদ্যুতিক চুল্লিতে এই কোভিড আক্রান্ত মৃতদেহগুলি সৎকারের ব্যবস্থা করা হবে আর কিছুদিনের মধ্যেই। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক স্তরে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সরকারি এই উদ্যোগে খুশি এলাকার সাধারণ মানুষজন।