‘গোলি মারো’ স্লোগান কাণ্ডে ধুন্ধুমার ব্যাঙ্কশাল আদালত, ১ জন জামিন পেলেও পুলিশ হেফাজতে ২

সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ২ মার্চ: রবিবার শহীদ মিনারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় ‘গোলি মারো’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে ৩ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হল ব্যাঙ্কশাল আদালতেও। অমিত শাহের সভায় যাওয়ার সময় ‘দেশ কে গদ্দারো কো, গোলি মারো শালো কো’ স্লোগান দিয়ে গ্রেফতার হন তিন বিজেপি কর্মী। ধৃত পঙ্কজ প্রসাদ, ধ্রুব বসু এবং সুরেন্দ্র তিওয়ারিতে এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হয়। এদের মধ্যে বার্ধক্যজনিত কারণে ধ্রুব বসুকে ১০০০ টাকার বন্ডে ছেড়ে দেওয়া হলেও পঙ্কজ প্রসাদ এবং সুরেন্দ্র তিওয়ারিতে ৪ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

আর এই মামলা নিয়ে সওয়াল জবাবে নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন দু’পক্ষের আইনজীবীরা। বিবাদী পক্ষে ছিলেন সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, অজিত মিশ্রের মত একাধিক আইনজীবী। তারা দাবি করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশত ভুল ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। ‘গোলি মারো’ স্লোগানে কোনও সম্প্রদায়কে আঘাত করা হয়নি। দেশের মানুষের হয়ে কথা বলা কি অপরাধ? দিল্লিতেও এই স্লোগান দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কোনও এফআইআর হয়নি। তিনি আরও বলেন, ‘সিএএ সমর্থক হলেই কি এ রাজ্যে গ্রেফতার হতে হবে? যখন অভিযোগে পুলিশ নিজেই লিখেছে ‘শান্তিপূর্ণ মিছিল’, তাহলে এই সমস্ত ধারা কেন প্রয়োগ করা হয়েছে? যারা আজাদি স্লোগান দেয়, তাঁদেরকে তাহলে গ্রেফতার করা উচিত। অবিলম্বে এদের জামিন দেওয়া হোক।

জবাবে সরকারি আইনজীবী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ঠিক ধারাই প্রয়োগ করা হয়েছে।’ এরপরে প্রত্যেকটি ধারার বিস্তারিত বিবরণ আদালতে পড়ে শুনিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনও স্লোগান দেওয়া অপরাধ নয়, কিন্তু কোনও স্লোগান শান্তি বিঘ্নিত করলে সেটা অপরাধ। আর এই তিন জন সেটাই করেছেন। তাই এদের জামিনের দাবি অগ্রাহ্য করে পুলিশ হেফাজত দেওয়া হোক।’ যদিও দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারক এক অভিযুক্তের বয়সজনিত কারণে জামিন মঞ্জুর করেন এবং দু’জনকে ২ দিনের পুলিশ হেফাজত দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *