বিশেষ সংবাদদাতা, আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৩ জুলাই: উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসের অপসারন দাবি করল বেঙ্গল ইমামস এসোসিয়েশন।
শুক্রবার সংগঠনের সভাপতি মহঃ ইয়াহিয়া এক প্রেস বিবৃতিতে এই দাবি করেন।
বিবৃতিতে লিখেছেন, “গতকাল প্রেস কনফারেন্সে যেভাবে নিজেকে প্রমান করেছেন, নিজের সাম্প্রদায়িক, ন্যাক্কারজনক, মানসিকতার প্রকাশ ঘটিয়েছেন, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, বেদনাদায়ক। যাঁর অনুপ্রেরণায় তিনি এমন মন্তব্য করতে পারেন, তিনি যদি ওই অভদ্রমহিলাকে এক্ষুনি দায়িত্ব থেকে সরিয়ে না দেন, ধরে নিতে হবে তাঁর ইচ্ছাতেই এমন মন্তব্য করেছেন মিস দাস। তাঁকেও সমান দ্বায়িত্ব নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, ঘটনাটি আকস্মিক নয়। ওই সভাপতির আগের বছরের প্রেস কনফারেন্সগুলো তাই প্রমান করে।
আমরা দেখেছি, যাঁর অনুপ্রেরনায় তিনি আনন্দিত হন, তিনিও গতবছরের আগের বছর মাদ্রাসা বোর্ডের ছাত্রদের স্কুল বোর্ডের ছাত্রদের সাথে সংবর্ধনা দেননি। তাদের আলাদা করা হয়েছিল। সব মনে রাখা হয়।
আরও পড়ুন ধর্মীয় পরিচিতির ভিত্তিতে উচ্চমাধ্যমিক ফল, কড়া সমালোচনা নেটানাগরিকদের
একজন সম্মাননীয় ছাত্রীকে তাঁর প্রাপ্য উপযুক্ত সম্মান না দিয়ে যেভাবে, তাঁর ধর্মীয় পরিচয়কে নিয়ে তাচ্ছিল্য করা হল, তাঁকে হেয় করা হল, তাঁকে অসম্মান করা হল, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা করছি, ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবী জানাচ্ছি, যিনি প্রতিবছর গর্বের সাথে মেরিট লিস্ট উচ্চারন করেন, তিনি কেন এবারের সর্বোচ্চ নং প্রাপকের নামটা পর্যন্ত উচ্চারন করলেন না? যিনি একটি সম্প্রদায়ের ‘লেডি, গার্ল’ এসব বলে গেলেন, তাকে এখনই ওই পদ থেকে অপসারন করুন।
আমরা এই ন্যাক্কারজনক মানসিকতার ও আচরনের তিব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা করছি এবং ওই অভদ্রমহিলার অপসারন দাবী করছি।“
প্রসঙ্গত, ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৪৯৯ পেয়ে শীর্ষস্থান অর্জন করেছেন মুর্শিদাবাদের কান্দির রুমানা সুলতানা। সাংবাদিক সম্মেলনে মহুয়া দাস তাঁকে মুসলমান ছাত্রী হিসেবে গুরুত্ব দেওয়ায় বিতর্ক ও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।