
আমাদের ভারত, ১৯ মে:
পরিকল্পনা করে ধর্মান্তকরণের বড়সড় চক্রের হদিশ পাওয়া গেল মধ্যপ্রদেশে। গত সপ্তাহে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের একটি জঙ্গি সংগঠনের খবর জানতে পারে। রাজ্য পুলিশের এটিএস সন্ধান পায় কট্টর পন্থী ইসলামিক সংগঠন হিজাব উদ তাহিরের। এদের অন্যতম কাজ হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করে মুসলিম করা।
এই সংগঠনের ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। এছাড়াও তেলেঙ্গানা থেকে এই সংগঠনের আরো ৫ সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে। এই গ্রেফতারির পর যে বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে, তাতে জানা যাচ্ছে, অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচজন হিন্দু মহিলাকে বিয়ে করেছিল। আবার এদের মধ্যে তিনজন কয়েক বছর আগেও নিজেরাও হিন্দু থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছিল।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ধরনের ইসলামিক সংগঠন আইসিসের সঙ্গে যুক্ত ও আইসিসের থেকেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিপদজনক। অন্তত ৫০টি দেশে এদের শাখা বিস্তৃত হয়ে গিয়েছে। গোপনে এরা ভারতে এদের কার্যকলাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
জানা যাচ্ছে, দুই মূল অভিযুক্ত ইয়াসির খান ও হায়দ্রাবাদের মহম্মদ সেলিম। ইয়াসির ভোপালের জিম প্রশিক্ষক। আর মহম্মদ সেলিম একটি কলেজের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত ছিল বলে জানা গেছে। সেলিম কয়েক বছর আগেও সৌরভ রাজ বৈদ্য নামেই পরিচিত ছিল, পরে সে ধর্মান্তরিত হয়। একইভাবে আরো দুই অভিযুক্ত আব্দুর রহমান ও মহম্মদ আব্বাস আলিও হিন্দু ছিল। তাদের নাম ছিল দেবী নারায়ণ পান্ডা ও মনু কুমার। এদেরও পরে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল।
মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র জানিয়েছেন, ধৃত অভিযুক্তরা আগে হিন্দু ছিল, পরে তারা ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হয়েছে। শুধু তাই নয় এরা ধর্মান্তরিত হবার পর নিজেরা হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করে জোর করে তাদেরও ধর্মান্তরিত করে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করেছে। ধৃতদের জেরা করে এই সংগঠনের সার্বিক কার্যকলাপ কীভাবে চলে তা বোঝার চেষ্টা করছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ।