২০২১ এ প্রচারে ঝড় তুলতে রাজ্যের মেধাবি ছাত্রছাত্রীদের সামিল করছে বিজেপি

নীল বনিক, আমাদের ভারত, কলকাতা, ১৪ জুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় ২০২১র ঝড় তুলতে রাজ্যের মেধাবি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে পড়াশুনা করা ছাত্রছাত্রীদের সামিল করতে চায় বিজেপি। সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বহু মানুষের কাছে কয়েকমিনিটে পৌছনো সম্ভব। সেই কারনে খড়গপুর আইআইটি ও শিবপুর ইন্জিনিয়ারিং কলেজের সংঘ পরিবার মনোভাবাপন্ন ছাত্রদের নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছে বিজেপি ও সংঘ পরিবার।

লকডাউনের আগে কলকাতার আইসিসিআরএ কেন্দ্রীয় বিজেপির নেতারা রাজ্যের মেধাবি তথ্যপ্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিংপড়া ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠন সম্পাদক শিবপ্রকাশ, সংঘের নেতা প্রদীপ জোশি, রাজ্য বিজেপির সহকারি সংগঠন সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী। সোস্যাল মিডিয়ায় কীভাবে অভিনবত্ব এনে দলের প্রচার করা যায় তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। এছাড়া আগামী বিধানসভা ভোটে রাজ্যের মেধাবি কয়েকজন ছাত্রছাত্রছাত্রী যাতে বিজেপির টিকিটে লড়াই করতে পারে তা নিয়েও আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে খড়গপুর আইআইটির কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্রর নামের তালিকা প্রদীপ জোশির কাছে জমা পড়েছে বলে সূত্রের খবর। খড়গপুর আইআইটির প্রাক্তন ছাত্র অনিমেষ বিশ্বাস বর্তমানে সোস্যাল মিডিয়ায় বঙ্গ বিজেপির প্রচারের রনকৌশল ঠিক করছেন। তিনি আবার দিল্লির সেভবেঙ্গল সংগঠনটির অন্যতম প্রতিষ্ঠা। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের খুব কাছের মানুষ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপারে অনেক ভাবে সাহায্য করেন। অনিমেষ বিশ্বাস মূলত খড়গপুরের আইআইটি ছাড়াও রাজ্যের কয়েকজন তথ্যপ্রযুক্তির ছাত্রছাত্রীকে প্রতিনিয়ত বিজেপির প্রচারের রনকৌশল নিয়ে পরামর্শ দেন।

অন্যদিকে বম্বের বাসিন্দা প্রাক্তন আইআইটিয়ান হেমন্ত দীক্ষিত এরাজ্যের সমস্ত ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতাদের পরিসংখ্যান তুলে দিচ্ছেন। তারপর কেন্দ্রীয় নেতাদের হাত দিয়ে সেই পরিসংখ্যান রাজ্যের নেতাদের কাছে এসে পৌছায়।

পাশাপাশি সংঘের অধ্যাপক সংগঠনের বেশ কয়েকজন প্রাক্তন অধ্যাপক উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘের মতাদর্শ নিয়ে নতুন প্রজন্মের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন। রাজ্যের বর্তমান আইটিআই ও পলেটেকনিক কলেজগুলির খামতি নিয়েও নতুন প্রজন্মের কাছে পৌছাতে চাইছে সংঘ ঘনিষ্ঠ একাধিক আইআইটিয়ান। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সঞ্জিত বক্সি আইটিআইগুলির দুরবস্থা নিয়ে নিজে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু করেছেন। এমনকি নদীয়ার বেশ কয়েকটি আইটিআই কলেজের ছাত্রদের মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে পাঠিয়েছেন সঞ্জিত বক্সি। তাদের চাক্ষুস বুঝিয়েছেন কিভাবে আমাদের রাজ্য শিল্পায়নে পিছিয়ে পড়ছে।

বৃষ্টির জল কিভাবে মাটির তলায় পৌছান যায় তানিয়ে সঞ্জিতবাবু গবেষণা করেন। জার্মানির একটি সংস্থার সঙ্গে এবিষয়ে কাজ করছেন। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণারত ছাত্রদের বোঝাচ্ছেন এরাজ্যে নতুন নতুন বিষয়ে গবেষণা করার উৎসাহ রাজ্য সরকার দেয় না। ২০২১ এর আগে রাজ্যের মেধাবি ছাত্রদের মধ্যে এইভাবেই ধীরেধীরে বিস্তার লাভ করছে সংঘ ও বিজেপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *