আমাদের ভারত, হাওড়া, ২৬ অক্টোবর: উত্তরাখণ্ডের কানাকাটাপাস অভিযানে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া রাজ্যের ৫ বাঙালি অভিযাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হল মঙ্গলবার। জানাগেছে, মঙ্গলবার দেবীকুন্ডের আশপাশ থেকে বাগনানের সরিৎ শেখর দাস, চন্দ্রশেখর দাস, সাগর দে, ঠাকুরপুকুরের সাধন বসাক এবং রানাঘাটের প্রীতম রায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দল। পরে মৃতদের পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহগুলি শনাক্ত করার পর ময়না তদন্তে নিয়ে যাওয়া হয়।
সূত্রের খবর, ময়না তদন্তের পর মৃতদেহগুলি দিল্লি বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে বিমানে দেহগুলি কলকাতায় আনা হবে।
উত্তরাখন্ডের বাঘেশ্বর জেলার পুলিশ সুপার অমিত শ্রীবাস্তব জানান, সোমবার দেবীকুন্ডে মৃতদেহগুলির খোঁজ পাওয়া গেলেও সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার সকালে বরফ সরিয়ে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে চপারে করে নীচে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে ৫ অভিযাত্রীর দেহ পাওয়া গেলেও এখনোও পর্যন্ত গাইডের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানান পুলিশ সুপার।
জানা গেছে, গত ১০ অক্টোবর অভিযাত্রী দলটি রওনা হয়ে ১১ অক্টোবর খারাকিয়া পৌঁছায়। ১২ অক্টোবর ৪ জন পোর্টার ও ১ জন গাইডকে সঙ্গে নিয়ে অভিযাত্রী দলটি পায়ে হেঁটে কানাকাটাপাস অভিযানে রওনা দেয়। ১৪ তারিখ কাঁঠালিয়া বেস ক্যাম্প থেকে কানাকাটাপাসের পথে যাওয়ার পরেই অভিযাত্রী দলটি তুষার ঝড়ের কবলে পড়ে। বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ৪ পোর্টার বেস ক্যাম্পে নেমে আসতে পারলেও গাইড সহ ৫ অভিযাত্রী নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপর উত্তরাখণ্ড সরকারের পক্ষ থেকে নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধারকারী দল পাঠালেও আবহাওয়া খারাপের কারণে তারা সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে মঙ্গলবার সকালে নিখোঁজ ৫ অভিযাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
এদিকে ৫ অভিযাত্রীর মৃতদেহ ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দফতরের মন্ত্রী পুলক রায় জানান, নিখোঁজ অভিযাত্রীদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন। মৃতদেহগুলি দিল্লিতে আনার পর রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সেগুলি কলকাতায় ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে।