সাথী প্রামানিক, পুরুলিয়া, ২৮ এপ্রিল: লকডাউনে গুজরাটে থাকা পুরুলিয়ার কিডনি রোগাক্রান্ত এক যুবক গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন। ওই যুবকের দেহ গুজরাটের নাদিয়াদ এলাকার একটি হোটেলের রুমে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। কয়েক দিন আগে ঘটনাটি ঘটলেও শনিবার রাতে দেহটি পুরুলিয়ায় কবর দেওয়া হয়। গুজরাটে সঙ্গে থাকা মৃতের ভাইকে পুরুলিয়ায় সরকারি কোয়ারেন্টাইনে পাঠায় প্রশাসন। তাঁর বাড়ি পুরুলিয়া শহরে।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই যুবক কিডনির অসুখে ভুগছিলেন। পেশায় দর্জি ওই যুবক ও তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে নাদিয়াদে হোটেলে ছিলেন। তার মধ্যেই লকডাউন শুরু হয়ে যায় সারা দেশে। দুই ভাই আটকে পড়েন পড়েন ওই হোটেলে। ব্যয় বহুল চিকিৎসার খরচ এবং থাকা খাওয়ার জন্য এমনিতেই আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছিলেন তাঁরা। এক প্রকার মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কিডনির রোগে ভুগতে থাকা বড় ভাই। কয়েকদিন আগে ভাইকে কিছু আনার অজুহাতে বাইরে পাঠিয়ে হোটেলের দরজা বন্ধ করে আত্মঘাতী হন ওই যুবক।
ঘটনার কথা জানিয়ে পুরুলিয়ার স্থানীয় কাউন্সিলার প্রদীপ ডাগা বলেন, ওই পরিবারটিকে আমি ভালভাবেই জানি। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে তারা কাটাচ্ছিলেন। গুজরাটে দেহ নিয়ে সমস্যার মুখে পড়েছিলেন মৃত যুবকের ভাই। প্রশাসনিক নির্দেশ ও আইন মেনে দেহ আনা হয় সরাসরি কবর স্থানে। এছাড়া রাতেই সঙ্গে থাকা মৃতের ভাইকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।