আমাদের ভারত, ১৯ জানুয়ারি:
করোনা সংক্রমণ বাড়লেও টিকাকরণের জোরাজোরি করা হচ্ছে না। ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে টিকা দেওয়ার কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। টিকা সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বিশেষভাবে সক্ষম নাগরিকদেরকে টিকা নেওয়ার শংসাপত্র দেখানো থেকে নিস্তার দেওয়া নিয়ে একটি মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতকে কেন্দ্র জানায় তারা জোর করে টিকা দেওয়ার পক্ষপাতি নয়। ১৩ জানুয়ারি এই সংক্রান্ত মামলায় আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছে কেন্দ্র। তাতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং তার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের কোনও নির্দেশিকায় কোথাও ইচ্ছের বিরুদ্ধে টিকা দেওয়ার নির্দেশ নেই। কেন্দ্রের দাবি, অতিমারি পরিস্থিতিতে জনস্বার্থে সার্বিক টিকাকরণের পক্ষে সরকার। বিজ্ঞাপন এবং প্রচার মাধ্যমে সেই মতো জনসংযোগও গড়ে তোলা হচ্ছে। নেট মাধ্যমে, সংবাদপত্রের মাধ্যমে শুধুমাত্র এটুকুই জানানো হচ্ছে যে প্রত্যেক নাগরিকের টিকা নেওয়া উচিত ও সরকার তার ব্যবস্থা করেছে।
আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় কেন্দ্রের বক্তব্য, ইচ্ছের বিরুদ্ধে কাউকে টিকা দেওয়া উচিত নয়। বিশেষভাবে সক্ষমদের নিয়ে কাজ করা ইলুরু ফাউন্ডেশনে তরফের সম্প্রতি একটি আবেদন জমা পড়ে আদালতে। তাতে বিশেষভাবে সক্ষম সকলের টিকা করনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন তারা। সেখানেই বিশেষভাবে সক্ষমদের শংসাপত্র দেখানোর প্রসঙ্গ উঠে আসে। বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা উচিত নয় বলে দাবি জানায় সংগঠনটি। তার প্রেক্ষিতে কেন্দ্র জানিয়েছে নাগরিকদের শংসাপত্র দেখানো বাধ্যতামূলক বলে কোনও নির্দেশিকা প্রকাশ করেনি কেন্দ্র।
তবে টিকাকরণ বাধ্যতামূলক নয় বলে কেন্দ্র জানালেও, লোকাল ট্রেনে ওঠার ক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রে টিকার শংসাপত্র দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। করোনা টিকা না নিলে রাজ্য চিকিৎসা খরচ বহন করবে না বলে ঘোষণা করেছে কেরল সরকার।