রাজেন রায়, কলকাতা, ২১ জানুয়ারি: আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য প্রশাসনের একাধিক প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম তুরুপের তাস হয়ে উঠতে চলেছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। কিন্তু এই কার্ড নিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে একাধিক মানুষের হেনস্থার অভিযোগ সামনে এসেছে। এবার নবান্নে এই প্রকল্পের ভুলক্রটি স্বীকার করে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দশ হাজারে একটা ভুল হতেই পারে। স্বাস্থ্যসাথীর ভুল ত্রুটি নিয়ে তদারকিতে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে নয়া কমিটি গঠন করা হবে।
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় নিখরচায় বছরে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা পাওয়ার কথা। কিন্তু এই নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হওয়ায় বারবার অভিযোগ আসছিল রাজ্য প্রশাসনের কাছে। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার কড়া সুরে মুখ্যসচিব জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঠিক হয়েছে যে সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল আবশ্যিকভাবে স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় থাকবে। তার জন্য যত খরচ হবে, তা যাতে বরাদ্দ করা হয়, সে বিষয়ে মন্ত্রিসভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলি চিকিৎসার খরচ নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছিল, তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন সেই কমিটিতে থাকবেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। হাসপাতালগুলির সঙ্গে সেই কমিটির সদস্যরা আলোচনা করবেন। তার ভিত্তিতে চিকিৎসার খরচের জন্য একটি মূল্য ধার্য করা হবে।
মমতা আরও ব্যাখ্যা করে জানান, ২০১৬-১৭ সালে যখন প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল, তখন চিকিৎসার খরচের জন্য একটি মূল্য ধার্য করা হয়েছিল। এখন রাজ্যের ১০ কোটি মানুষই প্রকল্পের আওতায় আসায় নতুন করে ‘রেট’ ঠিক করতে হবে। রোগী এবং হাসপাতালের স্বার্থ পুরোপুরি ক্ষুণ্ণ না করে খরচের ক্ষেত্রে বজায় রাখা হবে সামঞ্জস্য। এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু তো বলেছিলেন, রাইট টু মেক ব্লান্ডার ফর ইউথ। যে কেউ সাংঘাতিক ভুল করতে পারেন, যদি কোনও সাংঘাতিক ভুল হয়, তাহলে যে কেউ ঠিক করতে পারেন।’