আমাদের ভারত, ১ এপ্রিল: তিলজলা এবং গাজোলে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপারসনকে হয়রানির অভিযোগে সরব হলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যকে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থায় পরিণত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তিলজলায় শিশু খুনের ভয়াবহ ঘটনার পর রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হওয়ায় কলকাতায় এলেন কমিশনের দল। সেই প্রতিনিধিরা তিলজলায় পৌঁছলেও নিহতের পরিবারের সঙ্গে তাঁদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। সেখানে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানসুদেষ্ণা রায় ও অন্যান্য সদস্যরা হাজির হন। এমনকি থানায় তাঁদের হেনস্থা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
অন্যদিকে মালদার গাজোলে স্কুলের মধ্যে এক ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনায় আজ জাতীয় শিশু রক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো সহ সদস্যরা যান। সেখানেও একই দিনে রাজ্যে কমিশনের চেয়ারপার্সন সহ সদস্যরা হাজির হন। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। জাতীয় শিশু রক্ষা কমিশনের এক সদস্য বলেন, ঘটনার পর দশ দিন কেটে গেছে, আমরা দিল্লি থেকে চলে এলাম, আর আপনাদের আসতে এতদিন লাগল?
গাজলে কেন্দ্রীয় শিশু রক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগোকে বাধা দেওয়া হয়, এই অভিযোগ তুলে ধরনায় বসে বিজেপি কর্মী সদস্যরা।
এব্যাপারে শনিবার টুইটারে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, “কেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপারসনকে হয়রানি করা হচ্ছে? গতকাল তিলজলায় পুলিশ তাঁর ওপর চড়াও হয়। তদুপরি, মালদার গাজোলে ধর্ষণের শিকার নাবালিকার বাড়িতে যাওয়ার সময় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা তাঁর জন্য বাধা তৈরি করছে। মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গকে স্বৈরাচারে পরিণত করেছেন।“