দিদিমণির লজ্জা হওয়া উচিত, সরকার আর রাজনীতিকে তিনি এক করে দিয়েছেন, রায়গঞ্জে বললেন অর্জুন সিং

স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ২৪ জানুয়ারি: “রাজনীতি আর সরকার দুটো আলাদা, কিন্তু এরাজ্যের মানুষ দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতি আর সরকারকে এক করে চালাচ্ছেন। দিদিমনি আপনার লজ্জা হওয়া উচিত সরকারি মঞ্চে আপনি রাজনীতির কথা বলেন”। রায়গঞ্জ এক দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এমনভাবেই কটাক্ষ করলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। রবিবার রায়গঞ্জের মার্চেন্ট ক্লাব ময়দানে ভারতীয় জনতা পার্টির বিশাল যোগদান মেলা সভায় অংশ নেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। আজ বিজেপির যোগদান সভায় অর্জুন সিং ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, ঝাড়খন্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা বাবুলাল মারান্ডি এবং উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু সহ শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিন বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা কমিটির সদস্য কৃষ্ণ কল্যানী সহ বেশকিছু তৃণমূল কর্মী সমর্থক।

বিজেপি নেতা অর্জুন সিং বলেন, বিজেপি হল সমুদ্রের মতো। এখানে সবাইকে স্বাগত জানানো হয়। এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ” দিদিমণির লজ্জা করা উচিত তিনি সরকার আর রাজনীতিকে এক করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতবর্ষ আত্মনির্ভর দেশ হলে এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কি ক্ষতি হবে প্রশ্ন অর্জুন সিং’য়ের। গতকাল ভিক্টোরিয়ায় নেতাজীর ১২৫তম জন্মদিবস পালন অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাবহার প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা অর্জুন সিং বলেন, কেউ জয় শ্রীরাম বললে কি ক্ষতি আছে? আজকে যে জনসভা হচ্ছে তাতে কোনও মানুষ যদি আল্লা হু আকবর বলে তাতে কি আমরা রেগে যাব? আমরা ভারতবর্ষের মানুষ আমরা আমাদের ধর্মের কথা বলব না সেই প্রশ্নই তুলে ধরেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। তিনি এও বলেন, তৃণমূল দল ছাড়লেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের বিশ্বাসঘাতক বলেন। শুভেন্দু অধিকারী এবং আমাকেও বিশ্বাসঘাতক বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করতে চাই আর কত মানুষকে বিশ্বাসঘাতক বলবেন, সবাই তৃণমূল ছেড়ে চলে আসবে বিজেপিতে। আর এবার বাংলা বিজেপির দখলে আসবেই।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here