মেদিনীপুরে দুয়ারে সরকারের বিশেষ শিবিরে মুখ্যমন্ত্রী নিজে হাতে বিলি করলেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড, করলেন জনতার মন জয়

আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ৮ ডিসেম্বর: মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পেয়ে আপ্লুত সাবেরা বিবি। মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে চলে এসেছিলেন কলেক্টরেটে দুয়ারে সরকারের অতিরিক্ত শিবিরে। বাড়ি মেদিনীপুরের শেখপুরা এলাকায়। সঙ্গে ছিলেন স্বামী ৭১ বছরের শেখ মুসা , নাতি শেখ মিরাজ। রেজিস্ট্রেশনের পর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাওয়ার জন্য কালেক্টরেট চত্বরে অপেক্ষায় ছিলেন প্রৌঢ়া দম্পতি। মুখ্যমন্ত্রী আসবেন এজন্য এদিন সকাল থেকেই কালেক্টরেট
চত্বরে ছিল সাজো সাজো রব। পুরো এলাকা নীল সাদা বেলুন, বাহারি গাছে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল।

দুয়ারে সরকারের পরিষেবা দিতে সার দিয়ে ক্যাম্প। পরিষেবা দিতে চেয়ার- টেবিল নিয়ে বসেছিলেন সরকারি কর্মীরা। মেদিনীপুর পুরসভার ২৫টি ওর্য়াড থেকে বহুমানুষ এসেছিলেন। সটান সেখানে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মঙ্গলবার এমন ঘটনাই ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসকের অফিস চত্বরে। এদিন ছিল দুয়ারে সরকারের বিশেষ শিবির। সেই শিবিরে অংশ নিতে এসেছিলেন বহু মানুষ। কেউ আশা করেননি যে মুখ্যমন্ত্রী নিজে হাজির হবেন। হাজির হলেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারবে‌ন। কিন্তু এদিন সেটাই ঘটল। যা পেয়ে আপ্লুত সাধারণ মানুষ।

মাত্র ১০ মিনিটের জন্য এসেছিলেন তিনি। শিবিরে উপযুক্ত ব্যবস্থা রয়েছে কিনা তা তিনি খতিয়ে দেখেন। দশ বছরের নুসরাত খানের হাতে তুলে দেন জাতিগত শংসাপত্র। বাবার কোলে ছিল ছোট্ট নুসরত খান। তার বাবা নিজামুদ্দিন খাঁনের কাছে জানতে চান তিনি এই শিবিরে কি পরিষেবা নিতে এসেছেন। জানান জাতিগত শংসাপত্র নিতে। এর পাশাপাশি বেনোলিয়া হোসেন ও স্নেহা সরেনকেও জাতিগত শংসাপত্র প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য এখানে কোনও মঞ্চ ছিল না। শুধুমাত্র কাউন্টার ছিল। সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসক রশ্মি কোমল, অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ) সুদীপ সরকার উপভোক্তাদের কাউন্টারে ডাকেন।

নুসরতের বাবা নিজামুদ্দিন খাঁন জানিয়েছেন, দুয়ারের সরকার কর্মসূচি শুরু হওয়ার পরে আবেদন করেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে জাতিগত শংসাপত্র পেয়েছে মেয়ে। যা ভবাতেও পারিনি। এইদিনটা মনে রাখব।

প্রৌঢ়া সাবেরা বিবি মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কার্ড পেয়েছেন। মেদিনীপুর শহরের শেখপুরার বাসিন্দা সাবেরা বিবি জানান, মুখ্যমন্ত্রী নিজে হাতে কার্ড দেবেন ভাবতেও পারিনি। খুব ভালো লাগছে। আনন্দ হচ্ছে। এভাবে মাত্র দশ মিনিটেই জনতার মধ্যে মিশে সকলের মন জয় করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর হেলিকপ্টারে উড়ে গেলেন রাণীগঞ্জের উদ্দেশ্য।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here