আমাদের ভারত, দার্জিলিং, ২৬ অক্টোবর: অবশেষে পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন করার দাবি মেনে নিল রাজ্য সরকার। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবিষয়ে সিলমোহর দিলেন। মঙ্গলবার কার্শিয়াং টাউন কমিউনিটি হলে প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি ঘোষণা করেন কালিপুজো, ছটপুজোর পর জিটিএ নির্বাচন করা হবে। তবে অবশ্যই তার আগে নির্বাচনের তালিকা সংশোধন করা হবে। পাশাপাশি তিনি পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দেন।
পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের। আর তাই এবার নিজেই এই সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে এলেন। এদিন বৈঠকে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অনিত থাপা ও রোশন গিরি। তারা দুজনেই জিটিএ নির্বাচনের জন্য সওয়াল করেন। রোশন আবার পঞ্চায়েত নির্বাচন করারও দাবি জানান। সব শুনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জিটিএ নির্বাচন করা হবে। করোনা পরিস্থিতি কেমন থাকে তা দেখে। পাশাপাশি নামের তালিকা সংশোধন করা হবে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচন করা এখনই সম্ভব নয়। কারণ ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে গেলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। তিনি বলেন, আমি চাই পাহাড়ে শান্তি বজায় থাকুক। শান্তি থাকলেই সব করে দেবো আমি। কিন্তু একটা দল বাইরে থেকে এসে আপনাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইছে। আর আপনারা তার কথা শুনে নিজেদের মধ্যে লড়াই করে পাহাড়ের ঐতিহ্য নষ্ট করছেন। তিনি সরাসরি রোশন গিরিকে বলেন, আর ধ্বংসাত্মক রাজনীতি নয় এবার উন্নয়নের রাজনীতি করো। তোমরা আমাকে জানাও কি করলে পাহাড়ে স্থায়ী সমাধান করা যায়। রোশন, অনিত, গৌতম সকলে মিলে বসে ঠিক করে জানাও। আমি কালিপুজো, ছটপুজোর পর আবার পাহাড়ে আসবো। তখন আমি জানতে চাইব কি রূপরেখা তৈরি করেছো তোমরা৷ পাহাড়ে উন্নয়ন করতে চাই বিভেদ নয়। বাংলার মধ্যেই পাহাড়কে রেখে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অনিত থাপা। তিনি বলেন, পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য জিটিএ নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন তাই আমরা খুশী। আর পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য আমরা সবার সাথে কাজ করব। কিন্তু রোশন গিরি আর আমার মতাদর্শ আলাদা। একইভাবে রোশন গিরিও মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দেওয়ায় উনিও খুশী। রোশন বলেন, আমরা চাই পাহাড় শান্তিতে থাকুক। তাই মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন তাই করব আমরা। আর আমরা সবসময় নির্বাচনের পক্ষে।