রাজ্যপালকে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

রাজেন রায়, কলকাতা, ১৬ জুলাই: বৃহস্পতিবার সকালেই সাংবাদিক বৈঠক করে শিক্ষায় রাজনীতিকরণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন। তারই জবাবে নবান্নে বসে রাজ্যপালকে এবার আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সহ্যেরও সীমা আছে। আমি চুপ করে থাকি মানে কেউ যা খুশি তাই বলে যেতে পারেন না।

এর আগে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর টুইট যুদ্ধ থেকে পত্র আদানপ্রদান হলেও সরাসরি কেউই একে অপরের বিরুদ্ধে এভাবে সরাসরি বক্তব্য রাখেননি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্যপালের সাংবাদিক বৈঠকের পরেই ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সকালে রাজ্যপাল অভিযোগ করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী ৬ মাস ধরে তাঁর চিঠির জবাব দেননি। তার জবাবে নথি দেখিয়ে বলেন, রাজ্যপালের সঙ্গে তিনি ও সরকারের আমলারা নিয়মিত গণতন্ত্রের নিয়ম মেনে যোগাযোগ রেখে চলেন। এমনকী বুধবারও তাঁর সঙ্গে রাজ্যপালের একাধিক বার কথা হয়েছে।

এর পর উপাচার্যদের সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠক প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে ২০১৭ সালে বিধানসভায় একটি আইনের ধারা পড়ে শুনিয়ে বলেন, ‘ওই আইনে শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছিল। তাতে সম্মতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল নিজেই। রাজ্যপাল নিজে এই আইন মানছেন না। ওই আইন অনুযায়ী রাজ্যপালের কোনও সচিবালয় থাকতে পারে না। আপনার সঙ্গে উপাচার্যদের বৈঠক হবে কি না, তা তো শিক্ষা দফতর জানিয়ে দিয়েছে। এক কথা কতবার বলতে হবে!’

রাজ্যপালের আচরণে তিনি যে যথেষ্ট বিরক্ত, তাও এদিন পরিষ্কার করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ওনার আচরণ দেখে মনে হয় আমরা ওনার চাকরবাকর। যখন তখন চিঠি পাঠিয়ে নানা জবাবদিহি তলব করেন। পদমর্যাদা মাথায় রেখে তারও সাধ্যমতো জবাব দিই। রাজভবনে বসে বিজেপির মুখপাত্রের থেকেও বিপদজনক কাজ করছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের পরামর্শ দেওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু কাউকে মানতে বাধ্য করতে পারেন না তিনি। উনি যদি এখনও সংযত না-হন, তবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিরোধের মুখে ওকে পড়তে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *