নাটকের শহর বালুরঘাটে জন্মদিনেও অন্ধকারে ডুবে থাকল নাট্যমন্দির, কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় ক্ষোভের সঞ্চার শহরে

আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ৭ ডিসেম্বর: নাটকের শহরেই শতাব্দী প্রাচীন নাট্যচর্চা কেন্দ্রের জন্মদিনে অবমামনা। ক্ষোভে ফুঁসছেন নাট্যপ্রেমীরা। প্রতিবছর ৭ই ডিসেম্বর বালুরঘাটের ঐতিহ্যবাহী নাট্যমন্দিরের জন্মদিন মহাসমারোহে পালন করা হলেও শনিবার নাটকের শহরে অন্ধকারে ডুবে থাকল নাট্যমন্দির। আলো জ্বালানো তো দূরের কথা নাট্য মন্দিরের আশপাশ ভরে থাকল জঞ্জাল ও আবর্জনায়। যাকে ঘিরে শহরের সাংস্কৃতিক মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিত্বদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

জানাগেছে, চলতি বছরের মে মাসে ওই সংস্থার এক্সিকিউটিভ কমিটির পরিবর্তন হয়েছে। তারপর থেকেই সংস্থার উন্নতির বিষয়ে একপ্রকার উদাসীন থেকেছে নতুন এই কমিটি বলে অভিযোগ। প্রাচীন এই সংস্থার সাথেই নাট্যজগতের অন্যতম ব্যক্তিদের মধ্যে মন্মথ রায়ের মত বিখ্যাত ব্যাক্তিত্বও যুক্ত ছিলেন। সেই শতাব্দী প্রাচীন সংস্থার জন্মদিন পালন না হওয়ায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে বালুরঘাটের সংস্কৃতি প্রেমী মানুষের মনে।প্রতিবছর নাট্যমন্দিরের জন্মদিন উপলক্ষে সকালে প্রভাতফেরি করে সারাদিন ব্যপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও এ বছর কমিটির তরফে কেন কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হল না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে নতুন কমিটির ভূমিকা নিয়েও।

নাট্যমন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক উৎপল দাস বলেন, কলকাতাতে নাট্য মেলায় অংশগ্রহণ করতে গিয়েছিলাম অনেকে। সবে ফিরেছি। এতো কম সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

নাট্যমন্দিরের প্রাক্তন সভাপতি অজিত মহন্ত বলেন, এই মুহূর্তে নাট্যমন্দিরের নতুন কমিটি গঠন হয়েছে। তারা কেন নাট্যমন্দিরের জন্মদিন পালন করছেন না তা বলতে পারবো না। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি ১১২ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই সংস্থার জন্মদিন পালন করলে বোধ হয় ভালো হত। কারণ ১১২ বছর ধরে নাট্যচর্চা এই বাংলায় আর কোথাও হয় বলে আমার জানা নেই। সেই সংস্থার জন্মদিন পালিত হচ্ছে না, তা অত্যন্ত দূর্ভাগ্যজনক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *