প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর বিধায়ক কোটার টাকায় আলিপুরদুয়ারের চৌরাস্তায় বসছে ক্লক টাওয়ার

আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ৯ সেপ্টেম্বর: তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর এলাকা উন্নয়ন তহবিলের অর্থে আলিপুরদুয়ার শহরে প্রবেশের মূল চৌপথিতে তৈরী করা হচ্ছে ক্লক টাওয়ার। লন্ডনের ক্লক টাওয়ারের আদলে শহরের প্রাণকেন্দ্রে জনবহুল চৌরাস্তার মোড়ে এই ক্লক টাওয়ারের কাজ চলছে জোরকদমে। নির্মাঙ্কারী সংস্থার তরফে জানা গেছে, ৩৯ফুট উচ্চতার সুদৃশ্য ক্লক টাওয়ারের কাজ অনেকটাই হয়ে গেছে। যদিও এই ক্লক টাওয়ার নির্মাণের যৌক্তিকতা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন।

আলিপুরদুয়ার বিধানসভার বিধায়ক থাকার সময় ২০১৯ সালে সৌরভ চক্রবর্তী তাঁর বিধায়ক কোটার ফান্ড থেকে এই ক্লক টাওয়ার নির্মানের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। ওই টাকা শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালে কাজের জন্য টেন্ডার ডাকে এসজেডিএ। টেন্ডার হওয়ার বছরেই ক্লক টাওয়ারেরে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই ক্লক টাওয়ারের কাজ ফের জোর কদমে শুরু হয়েছে। সৌরভবাবু জানান, “এখন টাওয়ার তৈরীর কাজ চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পুজোর আগেই শহরবাসীকে আমরা ক্লক টাওয়ার উপহার দিতে চাই।”

আলিপুরদুয়ার শহরের প্রধান বানিজ্যিক এলাকা চৌপথিতে মিশেছে আলিপুরদুয়ার-কুমারগ্রামদুয়ার রোড, বক্সা ফিডার রোড ও মায়া টকিজ রোড। প্রতিদিন কয়েক হাজার লোক এই চৌপথি পারাপার করে শহরে নিজেদের কাজকর্ম সারেন। ফলে শহরের ওই জনবহুল চৌরাস্তা মোড়ের জায়গাকেই ক্লক টাওয়ার বসানোর জায়গা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। ক্লক টাওয়ারের পাশেই একটি ছোট পরিসরে সেলফি জোন তৈরী করা হচ্ছে। যাতে শহরের মানুষ ওই ক্লক টাওয়ারকে রেখে সেলফি তুলতে পারে। ইতিমধ্যে ক্লক টাওয়ারকে রেখে পথ চলতি উৎসাহী যুবক-যুবতীদের সেলফি তোলার হিড়িক পড়ে গিয়েছে।

তবে এত বিপুল টাকা খরচ করে ক্লক টাওয়ার তৈরির জন্য শহরে কাল পাতলে সমালোচনাও শোনা যাচ্ছে। বিজেপি-র আলিপুরদুয়ার টাউন মন্ডল সভাপতি প্রদীপ রায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আমরা দেখেছি এমন ঘড়ি কিছুদিন বাদেই বন্ধ হয়ে পড়ে থাকে। এসব না করে শহরের রাস্তাঘাট, নিকাশি সহ প্রচুর সমস্যা আছে, প্রাক্তন বিধায়কের সেইসব জায়গায় টাকা খরচ করা উচিত ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *