লাদাখ থেকে জওয়ানের কফিন বন্দী দেহ ফিরল রঘুনাথপুরের বাড়িতে, অন্ত্যেষ্টির আগে গান স্যালুট সতীর্থদের

সাথী দাস, পুরুলিয়া, ১৯ জুন: লাদাখে কর্মরত ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ জওয়ানের কফিন বন্দী দেহ ফিরল রঘুনাথপুর থানার ন’পাড়া গ্রামে। ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের ১৬ নম্বর ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন ওই গ্রামের নিরঞ্জন কুম্ভকার(৩৬)। প্রায় এক বছর ধরে লাদাখে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি)র কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন তিনি।

মঙ্গলবার রাতের দিকে হঠাৎ অসুস্থতার খবর আসে তাঁর বাড়িতে। কর্মস্থলের সহকর্মীরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। বুধবার সকালে চিকিৎসা চলাকালীন ওই জওয়ানের মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের পর দেহ বিমানে রাঁচি এয়ারপোর্ট পৌঁছয় শুক্রবার দুপুরে। সেখান থেকে সড়ক পথে সন্ধ্যায় তাঁর গ্রামে পৌঁছয় ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের বিশেষ গাড়ি। শোকার্ত পরিবেশে দেহ বন্দি কফিন জওয়ানরা বাড়ির উঠোনে নামান। তার পরই কান্নার রোল নামে সেখানে।

জাতীয় পতাকায় মোড়া কফিনের উপর ডুকরে কেঁদে উঠেন ছোটসন্তান হারা বাবা। শ্রদ্ধা জানান ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের আধিকারিক, রঘুনাথপুর থানার পুলিশ, প্রতিবেশী ও বিশিষ্ট জনরা। শ্মশানে অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার আগে গান স্যালুট জানান ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের জওয়ানরা।

নিরঞ্জনের বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা ও মা। রয়েছেন স্ত্রী ও চার বছরের পুত্র সন্তান। রয়েছে তাঁর দুই দাদা ও বৌদি। দুঃসংবাদ পাওয়ার পর থেকে পরিবারের নেমে এসেছে শোকের ছায়া। দেহ বাড়িতে ফিরতেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন নিরঞ্জনের স্ত্রী, সহ পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী ও উপস্থিত পরিজনরা। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *