আমাদের ভারত, ২৪ জানুয়ারি: ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’
প্রকল্পকে স্বাগত জানিয়েও প্রশ্ন তুলল বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সঙ্ঘ। সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বাপী প্রামাণিক সোমবার এই প্রতিবেদককে বলেন, “রাজ্য সরকারের প্রকল্প ঘোষণা দেখে আমাদের ভারতের প্রাচীন গুরুকুল ও টোল ব্যবস্থার কথা মনে পড়ছে। একটা সময় ভারতে প্রতিটি গ্রামে টোল ব্যবস্থা ছিল, করোনা মহামারী আবার সেই দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
আমরা এই প্রকল্পকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে ৬০ লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পঠন পাঠনের জন্য ২- ২.৫ লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষক, সহ শিক্ষক, অঙ্গনওয়ারি সহায়ক যথেষ্ট নয়। আবার জেলা, শহর, গ্রাম ও অঞ্চল ভেদে যে বৈষম্য শিক্ষক ও শিক্ষার পরিকাঠামোর রয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে এই প্রকল্প সাফল্য পাবে বলে মনে হয় না। দীর্ঘদিন নিয়োগ প্রক্রিয়ার জটিলতায় রাজ্যের অসংখ্য বিদ্যালয় শিক্ষক শূন্য অবস্থায় রয়েছে। রাজ্যের কতগুলি পাড়া আছে এবং সেই পাড়ার ফাঁকা জায়গায় এই শিক্ষালয় শুরু হবে তার জন্য যে জায়গার প্রয়োজন সে বিষয়েও কোন স্পষ্ট দিশা নেই।”
সোমবার স্কুল খোলা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ফের জানালেন, রাজ্য স্কুল খোলার পক্ষেই। তবে ভাবনা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এর সঙ্গে পড়ুয়াদের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। স্কুল খোলার সিদ্ধান্তের বিষয়টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানাবেন বলেই এদিন জানিয়েছেন ব্রাত্যবাবু।