হিন্দুত্ববাদীদের করা মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদ মামলা গ্রহণ করল আদালত

আমাদের ভারত, ১৯ মে: জ্ঞানবাপী মসজিদের পর এবার অন্যতম বড় বিতর্কের কেন্দ্র হতে চলেছে মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদ। উত্তরপ্রদেশের মন্দির নগরী প্রাচীন ইদগাহ সরানোর দাবিতে হিন্দুত্ববাদীদের দায়ের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার নতুন করে মামলার শুনানিতে সম্মতি দিয়েছে মথুরা আদালত।

আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী হরিশংকর জৈন বলেছেন, আদালত এই বিষয়ে একাধিক আবেদনের মধ্যে একটি আবেদন গ্রহণ করেছে। সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় গৌড় বৃহস্পতিবার বলেন, জেলা দেওয়ানী আদালতের বিচারক রাজীব ভারতী দু’পক্ষেরই বক্তব্য শুনেছেন।‌ মথুরার প্রাচীন কাটরা স্তুপ যা কাটরা কেশব দাস নামে পরিচিত সেটি ওই এলাকায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান কমপ্লেক্সের পাশেই রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, ইদগাহের ওই জমিতে কৃষ্ণের গর্ভগৃহে ছিল প্রাচীন কেশবদাশ মন্দির। কাশীর আসল বিশ্বনাথ মন্দিরের মতোই মথুরার মন্দির ধ্বংস করেছিলেন মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। অভিযোগ, সেখানে শাহি ঈদগাহ মসজিদ নির্মাণ করেন মুঘল সম্রাট। তাদের দাবি, জ্ঞানবাপী মসজিদের মত শাহি ইদগাহেও রয়েছে মন্দির থাকার প্রমাণ। সেগুলির সমীক্ষা ও ভিডিওগ্রাফির দাবিতে ইতিমধ্যে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্টে। সেই মামলার রায় ঘোষণার আগেই ইদগাহ থেকে মন্দির থাকার প্রমাণ নষ্ট করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে অবিলম্বে ওই এলাকা সিল করার দাবিতে মঙ্গলবার একটি আবেদন জানানো হয়। মথুরা আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে। আগামী পয়লা জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

২০২০ সালের মথুরার আদালতের রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী ছয়জন কৃষ্ণ ভক্তের তরফে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমানে নামে দায়ের হওয়া দেওয়ানী মামলায় শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির ১৩.৩৭ একরের অধিকার এবং সেখানে অবস্থিত সপ্তদশ শতকের শাহি ইদগাহ মসজিদ সরানোর আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই আবেদন নিম্ন আদালতে খারিজ করে দেওয়ার পরে, জেলা বিচারকের কাছে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *