এবার মুখ্যমন্ত্রীও থাকবে কি না তা কোর্টই ঠিক করবে, বললেন সুকান্ত মজুমদার

আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ২৭ মে : “রাজ্যটা কোর্ট চালাচ্ছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীও থাকবে কি থাকবে না এটা কোর্টই ঠিক করবে বলে আমার মনে হয়।” শুক্রবার রাতে তারাপীঠে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা সরকারকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

প্রসঙ্গত, শনিবার দলের একটি প্রশিক্ষণ শিবির রয়েছে তারাপীঠে। সেই শিবিরে যোগ দিতে শুক্রবার রাতেই তারাপীঠে পৌঁছে যান সুকান্ত মজুমদার। তার আগে সন্ধ্যায় ময়ূরেশ্বর থানার কল্লেশ্বর শিব মন্দিরে পুজো দেন তিনি।

শনিবার সকালে তারাপীঠ মন্দিরে মা তারার পুজো দেবেন তিনি। রাতেই তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করেন। সেই সঙ্গে তিনি জনিয়েদেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে আক্রমণ বিজেপি সমর্থন করছে না। তিনি বলেন, “আমরা কোনও রকম হিংসাকে সমর্থন করি না। সেটা যার উপরে হোক না কেন। এর একটা সমাধানের রাস্তা খোঁজা উচিত। রাজ্য সরকারের উচিত সহৃদয় হয়ে কুর্মিদের সঙ্গে আলোচনায় বসা।”

ব্যারাকপুরে শুট আউট কাণ্ডে সংসদ অর্জুন সিংহের বেসুরো মন্তব্য নিয়ে সুকান্তবাবু রহস্য করে বলেন, “সময় আছে। অপেক্ষা করুন! আরও সুর বেসুরো হয়ে যাবে যারা এখন সুরে গাইছেন। যত দিন যাবে বেসুরো হবে। কারণ পুরো জিনিসটাই তো ডামাডোল চলছে এখন। শেষ মুহূর্তে তৃণমূলের মুষল পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু বেসুরো হচ্ছে। এরপর মুষল দিয়ে হবে। যে দলের সাংসদরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এটা সরকারের ব্যর্থতা।”

সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রক্ষা কবজ বাতিল হওয়া নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “উনার তো রক্ষা কবজের প্রয়োজন নেই। উনি তো নিজেই বলেছেন, দরকারে ফাঁসির মঞ্চে চলে যাবেন। উনি বীরপুঙ্গব।”

একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধের প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু বলেন, “একশো দিনের কাজে ২০৭ টাকা মজুরি। ১২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর যে সরকার ওই সামান্য পয়সায় রাজ্যের মানুষকে কাজ করতে বলেন সেই সরকারের কচু গাছে গলায় দড়ি দিয়ে মরা উচিত। মানুষ অন্য রাজ্যে যাচ্ছেন কারণ সেখানে শিল্প আছে। কেন্দ্র সরকার তো টাকা কারও বাড়িতে জমিয়ে রাখার জন্য দেয়নি। সেই দুর্নীতির তদন্ত চলেছে।”

পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “বিস্ফোরকের উপর বসে আছে রাজ্য। পঞ্চায়েত নির্বাচন হলে বহু বাড়ি ভেঙ্গে পড়বে। বহু মানুষের মৃত্যু হবে। আর এই পুলিশ দিয়ে কোনো ভাবেই শান্তিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে না। কারণ পুলিশের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়েছে এই সরকার। শাসক দলের ছোট বড় মাঝারি সব নেতা পুলিশকে বাড়ির চাকরবাকর মনে করেন। ফলে এই পুলিশ দিয়ে নির্বাচন সম্ভব নয়।”

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here